ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোদিকে হাস্যকর প্রশ্ন করে বিপাকে নারী সাংবাদিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭
  • ৩২৫ বার

সাংবাদিকতা পড়তে এলে একেবারে শুরুতেই শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়, কর্মক্ষেত্রে কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে গেলে আগে ভাল করে ‘হোমওয়ার্ক’ করে নেওয়ার ব্যাপারে। যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে, কোনও কারণে তার সম্পর্কে খুব বেশি জানা সম্ভব না হলেও অন্তত প্রাথমিক জ্ঞানটুকু নিয়ে যাওয়া জরুরি। নইলে ঘটনাস্থলে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে।

এই প্রাথমিক জ্ঞানটুকুর অভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তুমুল হেনস্তার মুখে পড়তে হল ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানির (NBC) নারী সাংবাদিক মেগিন কেলিকে। তাকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় দিনভর চলল ঠাট্টা, সমালোচনা। সেই সঙ্গে একের পর এক তির্যক মন্তব্য শুনতে হল তাকে। কারণ তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হাস্যকর প্রশ্ন করেছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন কেলি। প্রথমটায় বেশ হালকা মেজাজেই কথাবার্তা চলছিল। টুইটারে মেগানের প্রোফাইল পিকচারের প্রশংসা করেন মোদি।

তার উত্তরে উপস্থিত সকলকে চমকে দিয়ে কেলি পাল্টা মোদির কাছে জানতে চান, “আপনি টুইটারে আছেন?” তার এই প্রশ্নেই বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের বক্তব্য, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে এসেছেন যে সাংবাদিক, তিনি এটুকু জানেন না যে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয়তম নেতা নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তার ৩ কোটিরও বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে।

এরপরই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ও মাইক্রো ব্লগিং সাইটে মেগিন কেলি ও তার চ্যানেলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেগিনের কাছে অনেকেই জানতে চান, রাশিয়াতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বৈঠকের মঞ্চে যোগ দিতে গিয়েছেন, অথচ উপস্থিত হাই প্রোফাইল নেতাদের সম্পর্কে ন্যূনতম পড়াশোনাটুকু করেননি কেন? অনেকে আবার কেলির এই মনোভাবকে মার্কিনিদের স্বাভাবিক ঔদ্ধত্য বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

তবে সমালোচকরা যাই বলুক না কেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি কেলির প্রশ্নে হেসে ওঠেন। সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান। মোদির এই মনোভাবেরও প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মোদিকে হাস্যকর প্রশ্ন করে বিপাকে নারী সাংবাদিক

আপডেট টাইম : ০৬:০৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭

সাংবাদিকতা পড়তে এলে একেবারে শুরুতেই শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়, কর্মক্ষেত্রে কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে গেলে আগে ভাল করে ‘হোমওয়ার্ক’ করে নেওয়ার ব্যাপারে। যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে, কোনও কারণে তার সম্পর্কে খুব বেশি জানা সম্ভব না হলেও অন্তত প্রাথমিক জ্ঞানটুকু নিয়ে যাওয়া জরুরি। নইলে ঘটনাস্থলে বেকায়দায় পড়তে হতে পারে।

এই প্রাথমিক জ্ঞানটুকুর অভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তুমুল হেনস্তার মুখে পড়তে হল ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানির (NBC) নারী সাংবাদিক মেগিন কেলিকে। তাকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় দিনভর চলল ঠাট্টা, সমালোচনা। সেই সঙ্গে একের পর এক তির্যক মন্তব্য শুনতে হল তাকে। কারণ তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হাস্যকর প্রশ্ন করেছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন কেলি। প্রথমটায় বেশ হালকা মেজাজেই কথাবার্তা চলছিল। টুইটারে মেগানের প্রোফাইল পিকচারের প্রশংসা করেন মোদি।

তার উত্তরে উপস্থিত সকলকে চমকে দিয়ে কেলি পাল্টা মোদির কাছে জানতে চান, “আপনি টুইটারে আছেন?” তার এই প্রশ্নেই বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের বক্তব্য, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে এসেছেন যে সাংবাদিক, তিনি এটুকু জানেন না যে বিশ্বের তৃতীয় জনপ্রিয়তম নেতা নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে তার ৩ কোটিরও বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে।

এরপরই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ও মাইক্রো ব্লগিং সাইটে মেগিন কেলি ও তার চ্যানেলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেগিনের কাছে অনেকেই জানতে চান, রাশিয়াতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বৈঠকের মঞ্চে যোগ দিতে গিয়েছেন, অথচ উপস্থিত হাই প্রোফাইল নেতাদের সম্পর্কে ন্যূনতম পড়াশোনাটুকু করেননি কেন? অনেকে আবার কেলির এই মনোভাবকে মার্কিনিদের স্বাভাবিক ঔদ্ধত্য বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

তবে সমালোচকরা যাই বলুক না কেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিন্তু ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি কেলির প্রশ্নে হেসে ওঠেন। সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান। মোদির এই মনোভাবেরও প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।