ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুয়ার আসরে পাঁচ বৌকে হারালেন সৌদি যুবরাজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০১৭
  • ২৬৬ বার

জুয়ার টেবিলের সামনে বসলে তার হুঁশ থাকে না। মাদকের নেশা না করলে ঘুম আসে না। ইচ্ছা হলেই পরিচারক ও পরিচারিকাদের সঙ্গেও তিনি সঙ্গম করেন।যৌনদাসীর সংখ্যাও অঢেল।এমন রাজপুত্ররটির নাম মাজেদ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ।তার বউয়ের সংখ্যা ৯। যার মধ্যে জুয়ায় বাজি ধরে হারালেন পাঁচজনকে!

বলতে গেলে একেবারে আধুনিক মহাভারত। প্রেক্ষাপট শুধু মিশর। মহর্ষি ব্যাসদেবের ‘মহাভারত’-এ কৌরবদের সঙ্গে পাশা খেলতে গিয়ে পঞ্চপাণ্ডব যেভাবে নিঃস্ব হয়ে শেষ মুহূর্তে তাঁদের স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি ধরেছিলেন এই রাজপুত্রের কাহিনিও ঠিক সেই রকমই।

কীভাবে? সৌদি আরবের এই কুখ্যাত রাজপুত্র সিনাই প্রদেশের গ্র্যান্ড ক্যাসিনোয় ছ’ঘণ্টা ধরে জুয়া খেলছিলেন। মাদকের নেশায় হুঁশ খুইয়ে তাঁর ধন-সম্পত্তির সমস্তটা বাজি রেখেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। নিমেষে উড়ে যায় তাঁর বাজি ধরা ১.৩৫০ বিলিয়ন রিয়াল।

বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ আাড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। এরপরও তিনি জুয়ায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু কানাকড়ি কিছুই না থাকায় শেষপর্যন্ত নিজের ৯ স্ত্রীয়ের বাজি রেখে খেলা শুরু করেন। এক-এক করে পাঁচ স্ত্রীকেও খোয়ান মাজেদ। বিলাসবহুল জীবনযাপন ও নানা কেলেঙ্কারির জন্য বিশ্বখ্যাত মাজেদ।

ওই ক্যাসিনোর মালিক আলি শামুন জানিয়েছেন, “ পাঁচ স্ত্রীকে বিক্রি করে ২৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬১ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন মাজেদ। তারপর পাঁচ স্ত্রীকে এক ব্যক্তির দিকে ঠেলে দিয়ে ফের জুয়া খেলায় মনোনিবেশ করেন। এর আগে অনেকে নিজের ঘোড়া, উট, বাড়ি বাজি ধরে জুয়া খেলেছেন। পরে আবার অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম কেউ বউদের বিক্রি করল এবং পরে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করলেন না৷”

মিশর থেকে সৌদি আরবে ওই পাঁচ যুবরানিকে কীভাবে ফেরত পাঠাবেন সেই চিন্তাই এখন কুড়েকুড়ে খাচ্ছে শামুনকে। তবে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের কেউ ফের ওই পাঁচ বউকে কিনে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও ক্যাসিনোর কয়েকজন কর্মী অনুমান করছেন। তা না হলে কয়েক মাসের মধ্যে ওই মহিলাদের ইয়েমেন, কাতারে নিলাম ডেকে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

যদিও সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমন ঘটনায় দ্রুত দেনা মিটিয়ে মহিলাদের ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হবে। তবে যার জন্য এত অশান্তি তিনি কী করছেন? গোপন সূত্রে খবর, মিশর থেকে তিনি এখন পালিয়েছেন। পশ্চিম এশিয়ার কোনও একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জুয়ার আসরে পাঁচ বৌকে হারালেন সৌদি যুবরাজ

আপডেট টাইম : ১১:১১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০১৭

জুয়ার টেবিলের সামনে বসলে তার হুঁশ থাকে না। মাদকের নেশা না করলে ঘুম আসে না। ইচ্ছা হলেই পরিচারক ও পরিচারিকাদের সঙ্গেও তিনি সঙ্গম করেন।যৌনদাসীর সংখ্যাও অঢেল।এমন রাজপুত্ররটির নাম মাজেদ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ।তার বউয়ের সংখ্যা ৯। যার মধ্যে জুয়ায় বাজি ধরে হারালেন পাঁচজনকে!

বলতে গেলে একেবারে আধুনিক মহাভারত। প্রেক্ষাপট শুধু মিশর। মহর্ষি ব্যাসদেবের ‘মহাভারত’-এ কৌরবদের সঙ্গে পাশা খেলতে গিয়ে পঞ্চপাণ্ডব যেভাবে নিঃস্ব হয়ে শেষ মুহূর্তে তাঁদের স্ত্রী দ্রৌপদীকে বাজি ধরেছিলেন এই রাজপুত্রের কাহিনিও ঠিক সেই রকমই।

কীভাবে? সৌদি আরবের এই কুখ্যাত রাজপুত্র সিনাই প্রদেশের গ্র্যান্ড ক্যাসিনোয় ছ’ঘণ্টা ধরে জুয়া খেলছিলেন। মাদকের নেশায় হুঁশ খুইয়ে তাঁর ধন-সম্পত্তির সমস্তটা বাজি রেখেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে ছিল না। নিমেষে উড়ে যায় তাঁর বাজি ধরা ১.৩৫০ বিলিয়ন রিয়াল।

বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ আাড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। এরপরও তিনি জুয়ায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। কিন্তু কানাকড়ি কিছুই না থাকায় শেষপর্যন্ত নিজের ৯ স্ত্রীয়ের বাজি রেখে খেলা শুরু করেন। এক-এক করে পাঁচ স্ত্রীকেও খোয়ান মাজেদ। বিলাসবহুল জীবনযাপন ও নানা কেলেঙ্কারির জন্য বিশ্বখ্যাত মাজেদ।

ওই ক্যাসিনোর মালিক আলি শামুন জানিয়েছেন, “ পাঁচ স্ত্রীকে বিক্রি করে ২৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬১ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন মাজেদ। তারপর পাঁচ স্ত্রীকে এক ব্যক্তির দিকে ঠেলে দিয়ে ফের জুয়া খেলায় মনোনিবেশ করেন। এর আগে অনেকে নিজের ঘোড়া, উট, বাড়ি বাজি ধরে জুয়া খেলেছেন। পরে আবার অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এই প্রথম কেউ বউদের বিক্রি করল এবং পরে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করলেন না৷”

মিশর থেকে সৌদি আরবে ওই পাঁচ যুবরানিকে কীভাবে ফেরত পাঠাবেন সেই চিন্তাই এখন কুড়েকুড়ে খাচ্ছে শামুনকে। তবে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের কেউ ফের ওই পাঁচ বউকে কিনে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও ক্যাসিনোর কয়েকজন কর্মী অনুমান করছেন। তা না হলে কয়েক মাসের মধ্যে ওই মহিলাদের ইয়েমেন, কাতারে নিলাম ডেকে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

যদিও সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমন ঘটনায় দ্রুত দেনা মিটিয়ে মহিলাদের ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হবে। তবে যার জন্য এত অশান্তি তিনি কী করছেন? গোপন সূত্রে খবর, মিশর থেকে তিনি এখন পালিয়েছেন। পশ্চিম এশিয়ার কোনও একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম