বনানী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফ গোয়েন্দাদের জেরার মুখে সমাজের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম বলেছেন, যাদেরকে তিনি উঁচু দরের কলগার্ল সাপ্লাই দিয়ে থাকতেন। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের নামে নাঈম আশরাফ ব্যবসা করলেও তার আসল ব্যবসা ছিল নারী সরবরাহ ব্যবসা।
তার ব্যাংক একাউন্টেও ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এই মুহুর্তে জমা আছে। গোয়েন্দাদের জেরার মুখে তিনি এ টাকা সুনির্দিষ্ট উৎস বলতে পারেননি। গোটা অন্ধকার জগতের যে চিত্র বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলা ঘিরে উঠে আসছে তাতে গোয়েন্দারা তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন।
ভোগ-বিলাসের জীবনে আকৃষ্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া থেকে অভিজাত এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের নাঈম আশরাফ সহজে পটাতেন।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, উপর মহলে পুরো রিপোর্ট তারা দিতে যাচ্ছেন। সব মহলে প্রশ্ন উঠছে কারা সেই প্রভাবশালী যাদের নাঈম আশরাফ নিয়মিত নারী সাপ্লাই দিতেন? যেসব মেয়েরা নাঈমের হাত হয়ে বিত্তবান ও ক্ষমতাবানদের মনোরঞ্জনে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন এতদিন তারাও আতংকে রয়েছেন। যেকোনো মুহুর্তে গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারে।