ঢাকা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সবচেয়ে খাটো দম্পতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭
  • ৪৬৩ বার

লাভ কামস ইন অল শেপস অ্যান্ড সাইজেস। এ ধ্রুব সত্যটা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ভারতের এক দম্পতি। তারা হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার রাজেশ কুমার আর তার স্ত্রী শৈলজা কুমারী। তাদের দু’জনেরই উচ্চতা দুই ফুট পাঁচ ইঞ্চি করে। ভারতে বর্তমানে সবচেয়ে খাটো যুগল ৩৪ বছরের রাজেশ আর ৩০ বছরের শৈলজাই।

সরকারি চাকরিজীবী রাজেশ বহুদিন ধরেই যোগ্য পাত্রী খুঁজছিলেন। রাজেশের পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে অফিসের সহকর্মীরা বহু খুঁজেছেন রাজেশের মতো একজন পাত্রীকে। পরিবারের চাহিদা ছিল দুটো- হয় এক্কেবারে কাঁটায় কাঁটায় রাজেশের উচ্চতা ছুঁতে হবে, না হয় রাজেশের থেকে আর একটু খাটো। এর ওপরে উঠলে চলবে না। শেষে রাজেশের পরিবার খুঁজে পায় শৈলজাকে। প্রায় একই গল্প শৈলজারও। অনেক দিন ধরে অনেক জায়গায় তন্ন তন্ন করে একজন আড়াই ফুটের পাত্র খুঁজছিল শৈলজার পরিবার। অনেক ঘুরে শৈলজার ভাগ্যের চাকা এসে থামল রাজেশের বাড়ির দোরগোড়ায়। বেশ জাঁকজমকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। আশপাশের বহু গ্রাম থেকে অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন এ দম্পতিকে দেখতে। সম উচ্চতার কনে খুঁজে পেয়ে খোশ মেজাজে বর।

রাজেশ জানান, ‘শৈলজা আমাকে সম্পূর্ণ করেছে। তাকে আমি সর্বদা খুশি রাখতে চাই। আমরা একে অপরের জন্যই জন্মেছি।’

ঠিক তখনই শৈলজা বলেন, ‘আমিও খুব খুশি যে অবশেষে মনের মতো কাউকে পেলাম। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে ইশ্বর আর আমার পরিবারের জন্য।’ আনন্দবাজার পত্রিকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সবচেয়ে খাটো দম্পতি

আপডেট টাইম : ১২:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০১৭

লাভ কামস ইন অল শেপস অ্যান্ড সাইজেস। এ ধ্রুব সত্যটা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ভারতের এক দম্পতি। তারা হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার রাজেশ কুমার আর তার স্ত্রী শৈলজা কুমারী। তাদের দু’জনেরই উচ্চতা দুই ফুট পাঁচ ইঞ্চি করে। ভারতে বর্তমানে সবচেয়ে খাটো যুগল ৩৪ বছরের রাজেশ আর ৩০ বছরের শৈলজাই।

সরকারি চাকরিজীবী রাজেশ বহুদিন ধরেই যোগ্য পাত্রী খুঁজছিলেন। রাজেশের পরিবার-পরিজন থেকে শুরু করে অফিসের সহকর্মীরা বহু খুঁজেছেন রাজেশের মতো একজন পাত্রীকে। পরিবারের চাহিদা ছিল দুটো- হয় এক্কেবারে কাঁটায় কাঁটায় রাজেশের উচ্চতা ছুঁতে হবে, না হয় রাজেশের থেকে আর একটু খাটো। এর ওপরে উঠলে চলবে না। শেষে রাজেশের পরিবার খুঁজে পায় শৈলজাকে। প্রায় একই গল্প শৈলজারও। অনেক দিন ধরে অনেক জায়গায় তন্ন তন্ন করে একজন আড়াই ফুটের পাত্র খুঁজছিল শৈলজার পরিবার। অনেক ঘুরে শৈলজার ভাগ্যের চাকা এসে থামল রাজেশের বাড়ির দোরগোড়ায়। বেশ জাঁকজমকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। আশপাশের বহু গ্রাম থেকে অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন এ দম্পতিকে দেখতে। সম উচ্চতার কনে খুঁজে পেয়ে খোশ মেজাজে বর।

রাজেশ জানান, ‘শৈলজা আমাকে সম্পূর্ণ করেছে। তাকে আমি সর্বদা খুশি রাখতে চাই। আমরা একে অপরের জন্যই জন্মেছি।’

ঠিক তখনই শৈলজা বলেন, ‘আমিও খুব খুশি যে অবশেষে মনের মতো কাউকে পেলাম। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে ইশ্বর আর আমার পরিবারের জন্য।’ আনন্দবাজার পত্রিকা।