হাওরবাসীর ফসলহানি সংকট জাতীয় দুর্যোগ- দুর্নীতিবাজদের যেন ছাড় দেওয়া না হয় – সুলতানা কামাল

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল বলেছেন, হাওরে ফসলহানি জাতীয় দুর্যোগ। এতে শুধু হাওরের মানুষ নয়, গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাওরবাসীর সংকট জাতীয় দুর্যোগ, জাতীয় সংকট। এই সংকটে হাওরবাসীর পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। এই সংকটের পেছনে প্রকৃতি যেমন রয়েছে, তেমনি এটা মানবসৃষ্টও। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিচার করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের যেন কোনো ছাড় দেওয়া না হয়।’
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সদরে মঙ্গলবার বিকালে হাওরের ফসলহানির ঘটনায় আযোজিত এক কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। স্থানীয় হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সুলতানা কামাল আরও বলেন, মানুষের এই দুর্যোগ-দুর্ভোগ নিয়ে যেন রাজনীতি না হয়। এটা সহ্য করা হবে না। আমরা হাওরের মানুষের সাথে এক কাতারে আছি। তিনি হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষিঋণ, এনজিও ঋণ মওকুফ করার দাবি জানান।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি’র প্রধান নির্বাহী খুশি কবির, মানবাধিকার কর্মী সুব্রত চৌধুরী, এএলআরডি’র প্রধান নির্বাহী শামসুল হুদা, এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নি সাহা, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পদক পিযুষ রঞ্জন পুরকায়স্থ টিটু, আওয়ামী লীগ নেতা আলী মরতুজা, শফিকুল ইসলাম, অনুপম রায়,
শাহীন রেজা, হাফিজ উদ্দিন, আলমগীর খোকন, তাহিরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক আল হেলাল, শিক্ষক প্রতিনিধি গোলাম সরোয়ার লিটন, বণিক সমিতির প্রতিনিধি রতন গাঙ্গুলি, আলমাজ মিয়া, কৃষক প্রতিনিধি সাঞ্জব উস্তার, হাজী আব্দুল জলিল তালুকদার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হাই, কৃষক আব্দুশ শহীদ, আব্দুছ ছোবহান, মোসায়েল আহমদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
নিজেরা করি’র প্রধান নির্বাহী খুশি কবির বলেন,‘নদী ভরাট হয়ে গেছে, হাওর উঁচু হয়ে গেছে, এবার আপনারা নি:স্ব হয়ে গেছেন, যাদের জমি ছিল, তারাও নি:স্ব হয়ে পড়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড-ইউনিয়নে নারী পুরুষরা সহায়তা পাচ্ছে কী-না, ত্রাণ ঘরে ঘরে পৌঁছেছে কী-না এটি দেখতে হবে। কেবল সুদ নয়, আসল মওকূপও করতে হবে।’
মানবাধিকার কর্মী সুব্রত চৌধুরী গণ-মাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘গণমাধ্যম কর্মীরা হাওরাঞ্চলের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা যেমন জাতিকে এবং দায়িত্বশীলদের জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।’ তিনি বলেন,‘দুর্নীতির সঠিক তদন্ত করে বিচার হলে ক্ষতিগ্রস্তরা ন্যায় বিচার হচ্ছে বুঝতে পারবেন।’
এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন,‘ঠিকাদারী ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। বাঁধের ব্যবস্থাপনা কৃষকদেরই দিতে হবে। হাওরের জন্য স্পেশাল বরাদ্দ থাকতে হবে।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর