ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওর রক্ষা বাঁধ দুর্নীতি- নিরব বিএনপি ও জামায়াত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০১৭
  • ২৫৭ বার

হাওরে বাঁধ নির্মাণে পুকুর চুরির কারণে প্রায় চার লাখ কৃষকের কপাল ভাঙলেও সুনামগঞ্জের বিএনপি-জামায়াত এ ব্যাপারে অনেকটা নিরব। অবশ্য. বিএনপি নেতারা বলেছেন,‘তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্নীতির ব্যাপারে সোচ্চার রয়েছেন।’
সুনামগঞ্জের ৪২ টি বড় হাওরসহ ১২০ টি হাওরের এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমির প্রায় এক লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমির ধান এবার পানিতে ডুবেছে। এটি সরকারি হিসাবে। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ ধান ডুবেছে। বেসরকারি হিসাবে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২ হেক্টরই ডুবেছে। হাওরের মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ায় পাউবো, তাদের নিয়োজিত ঠিকাদার ও পিআইসিকে (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) দায়ী করছেন হাওরবাসী। এ নিয়ে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও’ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনও হচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বাঁধ নির্মাণের প্রায় ৬০ কোটি টাকা লুটপাট নিয়ে দেশের প্রায় সব কয়টি গণমাধ্যম একাধিক রিপোর্ট এবং দায়ীদের, বিশেষ করে দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন সোচ্চার হলেও প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ তাদের নেতৃত্বাধীন জোট এ বিষয়ে অনেকটা নিরব। বিএনপি এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্য কোন কর্মসূচি-ই দেয়নি। জামায়াতের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। হাওর ডুবে যাবার পর জাপা (এরশাদ) একটি সমাবেশ করেছিল। অন্যদিকে, ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাল্লায় এসে প্রকাশ্যে সমাবেশে বলেছেন,‘বাঁধের কাজে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’ মানুষের এমন দুর্দশার পর এখন ত্রাণবণ্টন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি হলেও বিএনপি-জামায়েত বা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিবাদী কোন ভূমিকা নেই।
বিএনপি-জামায়াত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর এমন ভূমিকা নিয়ে হাওরাঞ্চলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ত্রাণবণ্টনে অনিয়মের প্রতিবাদে হাওর- বাঁচাও সুনামগঞ্জ-বাঁচাও আন্দোলন শনিবারে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখার সময় সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা-আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন,‘‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি সুনামগঞ্জে এসে বলেছেন,‘কাঁন্দে পুতে খায়’। কিন্তু আমাদের সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো কাঁদতেও নামেনি। আমরা শুনেছি বাঁধ দুর্নীতির সিন্ডিকেটে অন্যান্য দলেরও কেউ কেউ যুক্ত রয়েছেন। এজন্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেই তারা।’
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্মআহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন,‘‘বিএনপি’র কেউ কেউ ঠিকাদারী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, না হয় ভাগিদার (শেয়ার)। এই জন্য তাদের দলের একজন নেতা (আবুল মুনসুর শওকত, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্মসম্পাদক) বৃহস্পতিবার ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন,‘জলবায়ু পরিবর্তন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে বাঁধ উপচে হাওরের ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোন হাওরে ঠিকাদারের বাঁধ ভেঙে ফসলহানির ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি কৃষকদের দাবি আদায়ের পক্ষে থাকার কথা ছিল, তারা উল্টো পথে হাঁটছে।’’
সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, জেলা আইনজীবী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেরেনুর আলী বলেছেন,‘কৃষকদের দুর্দশায় বিরোধীদল হিসাবে বিএনপি সুনামগঞ্জবাসীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল, এটি পালনে জেলার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ব্যর্থ হয়েছেন। এই পরিস্থিতি দুঃখজনক। আমরা বাধ্য হয়ে কয়েকজন সুনামগঞ্জবাসীর দাবি দাওয়া নিয়ে রাজপথে থাকা হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে থাকছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একদিন এসেছিলেন। ঐ দিনই কেবল নেতা-কর্মীরা কিছুটা তৎপর ছিলেন।’
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছাতক- দোয়ারাবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন,‘জনগণের দুর্দশায় পাশে থাকতে সর্বোচ্চ ভূমিকা থাকা উচিৎ দলীয় নেতা-কর্মীদের। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা। এই বিষয়ে আমরা আরো সক্রিয় হবো, রাজপথেও থাকবো।’ তিনি জানান, তারা এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় এক বছর বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন। না হয় তারা জনগণকে বলবেন কিস্তি না দেওয়ার জন্য।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক আছপিয়া বলেন,‘‘সুনামগঞ্জের দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের জন্য এবার সবচেয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের। পানি আসার শুরুতেই এবার সুনামগঞ্জের হাওরগুলো ডুবে গেছে। হাওর ডুবে যাবার জন্য প্রথমত. দায়ী হাওর রক্ষা বাঁধ না হওয়া। আমরা যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন করছি। আবুল মুনসুর শওকত সংবাদ সম্মেলনে ‘ঠিকাদারের বাঁধ ভেঙে ফসলহানি হয়নি’ বলে যে দাবি করেছেন, এটি তিনি ঠিকাদার হিসাবে করেছেন। বিএনপি’র কেউ-ই এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।’’
বাঁধ দুর্নীতির বিষয়ে জামায়াতের নিরবতা প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মমতাজুল হাসান আবেদ বলেন,‘বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে আমরা বিবৃতি দিয়েছি। ত্রাণ-সামগ্রী প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে পায়, সেই দাবিও জানিয়েছি। আমাদের প্রতি সরকারের বৈরী আচরণের কারণে আমরা রাজপথের কর্মসূচি দিতে পারিনি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওর রক্ষা বাঁধ দুর্নীতি- নিরব বিএনপি ও জামায়াত

আপডেট টাইম : ১০:০৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০১৭

হাওরে বাঁধ নির্মাণে পুকুর চুরির কারণে প্রায় চার লাখ কৃষকের কপাল ভাঙলেও সুনামগঞ্জের বিএনপি-জামায়াত এ ব্যাপারে অনেকটা নিরব। অবশ্য. বিএনপি নেতারা বলেছেন,‘তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুর্নীতির ব্যাপারে সোচ্চার রয়েছেন।’
সুনামগঞ্জের ৪২ টি বড় হাওরসহ ১২০ টি হাওরের এক লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমির প্রায় এক লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমির ধান এবার পানিতে ডুবেছে। এটি সরকারি হিসাবে। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ ধান ডুবেছে। বেসরকারি হিসাবে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২ হেক্টরই ডুবেছে। হাওরের মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন বোরো ফসল তলিয়ে যাওয়ায় পাউবো, তাদের নিয়োজিত ঠিকাদার ও পিআইসিকে (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) দায়ী করছেন হাওরবাসী। এ নিয়ে ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও’ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনও হচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বাঁধ নির্মাণের প্রায় ৬০ কোটি টাকা লুটপাট নিয়ে দেশের প্রায় সব কয়টি গণমাধ্যম একাধিক রিপোর্ট এবং দায়ীদের, বিশেষ করে দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠন সোচ্চার হলেও প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ তাদের নেতৃত্বাধীন জোট এ বিষয়ে অনেকটা নিরব। বিএনপি এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্য কোন কর্মসূচি-ই দেয়নি। জামায়াতের ক্ষেত্রে একই অবস্থা। হাওর ডুবে যাবার পর জাপা (এরশাদ) একটি সমাবেশ করেছিল। অন্যদিকে, ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাল্লায় এসে প্রকাশ্যে সমাবেশে বলেছেন,‘বাঁধের কাজে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’ মানুষের এমন দুর্দশার পর এখন ত্রাণবণ্টন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি হলেও বিএনপি-জামায়েত বা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিবাদী কোন ভূমিকা নেই।
বিএনপি-জামায়াত এবং রাজনৈতিক দলগুলোর এমন ভূমিকা নিয়ে হাওরাঞ্চলে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ত্রাণবণ্টনে অনিয়মের প্রতিবাদে হাওর- বাঁচাও সুনামগঞ্জ-বাঁচাও আন্দোলন শনিবারে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখার সময় সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা-আইনজীবী বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন,‘‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি সুনামগঞ্জে এসে বলেছেন,‘কাঁন্দে পুতে খায়’। কিন্তু আমাদের সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক দলগুলো কাঁদতেও নামেনি। আমরা শুনেছি বাঁধ দুর্নীতির সিন্ডিকেটে অন্যান্য দলেরও কেউ কেউ যুক্ত রয়েছেন। এজন্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেই তারা।’
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের যুগ্মআহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান বলেন,‘‘বিএনপি’র কেউ কেউ ঠিকাদারী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, না হয় ভাগিদার (শেয়ার)। এই জন্য তাদের দলের একজন নেতা (আবুল মুনসুর শওকত, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্মসম্পাদক) বৃহস্পতিবার ঠিকাদারদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন,‘জলবায়ু পরিবর্তন, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে বাঁধ উপচে হাওরের ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোন হাওরে ঠিকাদারের বাঁধ ভেঙে ফসলহানির ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি কৃষকদের দাবি আদায়ের পক্ষে থাকার কথা ছিল, তারা উল্টো পথে হাঁটছে।’’
সুনামগঞ্জ পৌর বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, জেলা আইনজীবী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেরেনুর আলী বলেছেন,‘কৃষকদের দুর্দশায় বিরোধীদল হিসাবে বিএনপি সুনামগঞ্জবাসীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে যে ভূমিকা পালন করার কথা ছিল, এটি পালনে জেলার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ব্যর্থ হয়েছেন। এই পরিস্থিতি দুঃখজনক। আমরা বাধ্য হয়ে কয়েকজন সুনামগঞ্জবাসীর দাবি দাওয়া নিয়ে রাজপথে থাকা হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সঙ্গে থাকছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ একদিন এসেছিলেন। ঐ দিনই কেবল নেতা-কর্মীরা কিছুটা তৎপর ছিলেন।’
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছাতক- দোয়ারাবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন,‘জনগণের দুর্দশায় পাশে থাকতে সর্বোচ্চ ভূমিকা থাকা উচিৎ দলীয় নেতা-কর্মীদের। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমরা। এই বিষয়ে আমরা আরো সক্রিয় হবো, রাজপথেও থাকবো।’ তিনি জানান, তারা এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় এক বছর বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন। না হয় তারা জনগণকে বলবেন কিস্তি না দেওয়ার জন্য।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক আছপিয়া বলেন,‘‘সুনামগঞ্জের দুর্দশাগ্রস্ত কৃষকদের জন্য এবার সবচেয়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল গণমাধ্যমকর্মীদের। পানি আসার শুরুতেই এবার সুনামগঞ্জের হাওরগুলো ডুবে গেছে। হাওর ডুবে যাবার জন্য প্রথমত. দায়ী হাওর রক্ষা বাঁধ না হওয়া। আমরা যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন করছি। আবুল মুনসুর শওকত সংবাদ সম্মেলনে ‘ঠিকাদারের বাঁধ ভেঙে ফসলহানি হয়নি’ বলে যে দাবি করেছেন, এটি তিনি ঠিকাদার হিসাবে করেছেন। বিএনপি’র কেউ-ই এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয়।’’
বাঁধ দুর্নীতির বিষয়ে জামায়াতের নিরবতা প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মমতাজুল হাসান আবেদ বলেন,‘বাঁধের কাজে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় দোষীদের শাস্তি দাবি করে আমরা বিবৃতি দিয়েছি। ত্রাণ-সামগ্রী প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে পায়, সেই দাবিও জানিয়েছি। আমাদের প্রতি সরকারের বৈরী আচরণের কারণে আমরা রাজপথের কর্মসূচি দিতে পারিনি।’