ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালগঞ্জে ধান, মাছ, হাঁসের পর কবুতরে মড়ক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০১৭
  • ৩২৮ বার

জামালগঞ্জের হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে ফসল ডুবির ঘটনার ক’দিন পর থেকেই হাওরে মাছ ও হাঁসের মড়কের পর এখন কবুতরের মড়ক দেখা দিয়েছে। নতুন করে অজানা ভাইরাসের কারণে কৃষক পরিবার ও খামারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। খামারী কবুতর গুলোকে নিজে খাবার দেবার পাশাপাশি উন্মুক্ত হাওরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খাবার আহরণ করতো। অবশ্য উপজেলা প্রাণি সম্পদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেছেন রানী ক্ষেত রোগের কারণেই কবুতরের মড়ক হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে সাচনাবাজার ইউনিয়নের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন রিপন খামারে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ টি কবুতরের মৃতদেহ পড়ে আছে। গেল বৃহস্পতিবার একদিনেই ৩০টি কবুতর মারা গেছে বলে জানান রিপন মিয়া। পরবর্তী ৪ দিনে পর পর আরো শতাধিক কবুতর মারা গেছে। শুধু রিপন মিয়ার কবুতরের খামারেই দেড় শতাধিক কবুতর মারা গেছে। এভাবে কবুতর মারা যাওয়ায় দিশোহারা হয়ে পড়েছেন কবুতরের খামারীরা। কবুতরের খামারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে রবিবার দুপুরেই ভেটেনারী সার্জন সরেজমিন পরির্দশন করে আলামত জব্দ করে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার পর কয়েকটি
মৃত কবুতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
কবুতরের খামারী মো. রিপন মিয়া জানান, খামারের কবুতরগুলোকে নিজে খাবার দেবার পাশাপাশি ওরা উন্মুক্ত হাওরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খাবার আহরণ করতো।
তিনি আরো জানান, মড়কে মৃত প্রতিটি দেশী কবুতরের দাম ৩ শত টাকা ও বিদেশী জাতীয় কবুতরের মুল্য ১৫ শত টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে তার।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেনারী সার্জন ডা. মো. মুমিনুর রহমান বলেন, মৃত কবুতরগুলোকে ময়না তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে রানী ক্ষেত রোগের কারণে এগুলো মারা গেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালগঞ্জে ধান, মাছ, হাঁসের পর কবুতরে মড়ক

আপডেট টাইম : ০৩:৩০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০১৭

জামালগঞ্জের হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে ফসল ডুবির ঘটনার ক’দিন পর থেকেই হাওরে মাছ ও হাঁসের মড়কের পর এখন কবুতরের মড়ক দেখা দিয়েছে। নতুন করে অজানা ভাইরাসের কারণে কৃষক পরিবার ও খামারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। খামারী কবুতর গুলোকে নিজে খাবার দেবার পাশাপাশি উন্মুক্ত হাওরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খাবার আহরণ করতো। অবশ্য উপজেলা প্রাণি সম্পদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেছেন রানী ক্ষেত রোগের কারণেই কবুতরের মড়ক হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে সাচনাবাজার ইউনিয়নের পোষ্ট অফিস সংলগ্ন রিপন খামারে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ টি কবুতরের মৃতদেহ পড়ে আছে। গেল বৃহস্পতিবার একদিনেই ৩০টি কবুতর মারা গেছে বলে জানান রিপন মিয়া। পরবর্তী ৪ দিনে পর পর আরো শতাধিক কবুতর মারা গেছে। শুধু রিপন মিয়ার কবুতরের খামারেই দেড় শতাধিক কবুতর মারা গেছে। এভাবে কবুতর মারা যাওয়ায় দিশোহারা হয়ে পড়েছেন কবুতরের খামারীরা। কবুতরের খামারী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে রবিবার দুপুরেই ভেটেনারী সার্জন সরেজমিন পরির্দশন করে আলামত জব্দ করে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার পর কয়েকটি
মৃত কবুতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
কবুতরের খামারী মো. রিপন মিয়া জানান, খামারের কবুতরগুলোকে নিজে খাবার দেবার পাশাপাশি ওরা উন্মুক্ত হাওরের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খাবার আহরণ করতো।
তিনি আরো জানান, মড়কে মৃত প্রতিটি দেশী কবুতরের দাম ৩ শত টাকা ও বিদেশী জাতীয় কবুতরের মুল্য ১৫ শত টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে তার।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেনারী সার্জন ডা. মো. মুমিনুর রহমান বলেন, মৃত কবুতরগুলোকে ময়না তদন্ত করে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে রানী ক্ষেত রোগের কারণে এগুলো মারা গেছে।