সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী ফসল ঘরে না উঠা পর্যন্ত একটি মানুষও না খেয়ে থাকবেনা। এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সজাগ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে প্রচুর খাদ্য মওজুদ রয়েছে। আমরা দুর্গত মানুষের পাশে আছি। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন ভিজিএফ সহ সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তবে ভিক্ষা করে খাদ্য আনবো না। প্রয়োজনে খাদ্য আমদানি করবো।’
রবিবার জেলার শাল্লা উপজেলার সাহেদ আলী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভিজিএফ কর্মসূচী ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌছার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ফসলের জন্য কৃষকদের সার, বীজ, কৃষি উপকরণ বিনা মূল্যে বিতরণ করবো। ইতিমধ্যে কৃষি ঋণের সুদ অর্ধেক মওকুফ করা হয়েছে।’ তিনি এনজিওদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তারা যেন দুর্গতদের ঋণের টাকার জন্য চাপ না দেয়।’
‘প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রকৃতিকে ব্যবহার করতে হবে। দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বাচতে হবে। হাওর রক্ষা বাধ নির্মাণে গাফিলতি প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
প্রধানমন্ত্রী রবিবার সকালে হেলিকপ্টার যোগে শাল্লা সহ পার্শ্ববর্তী ক্ষতিগ্রস্ত হাওর পরিদর্শন করেন। এসময় তার সফর সঙ্গী হিসাবে ছিলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুল আলম হানিফ।’
সকাল ১০টা ৫মিনিটে বিশাল ছায়ার হাওরের পাশে স্কুলমাঠে হেলিকপ্টার অবতরণ করলে তাকে পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ড. জয়া সেন এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি শাহানা রব্বানী, পীর ফজলুর রহমান এমপি, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড.নাজমুনারা খানুম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম স্বাগত জানান।