ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ৫০ গ্রামের মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৭
  • ২৭৯ বার

দেশ স্বাধীনের ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ২নং বিনোদনগর ইউনিয়নের নয়ানী রাঘবেন্দ্রপুর উত্তর চাকপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী।
বিনোদনগর ও পাশ্ববর্তী রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর দুই ইউনিয়নের ৫০ গ্রামের জনসাধারণের একমাত্র পারাপারের চাকপাড়ার ঘাট। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফলে ১২০ ফিট দীর্ঘ এই বাঁশের সাকোটি এলাকাবাসীর পারাপারের একমাত্র মাধ্যম। এ রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য গেলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, করতোয়া নদীতে ব্রীজ করে দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি, ব্রিজও নির্মাণ হয়নি। মো. আব্দুল আউয়াল জানান, উপজেলার নন্দনপুর, নারায়নপুর, চকদলু, পূর্বজয়দেবপুর, খামার দেবীপুর, বাঁশঝুড়ি, শুখানপুকুর, ভবানীপুর, চাকপাড়া, দক্ষিণ খালিপপুর, টাপু, তেলীপাড়া, পার নারায়নপুর, হিন্দুপাড়া, মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি, কিলপাড়া, নামাপাড়া, মিলনপুর, গোপালপুর, জলাইডাঙ্গা, তরফসাদি, কেশবপুর, দুর্গাপুর, ছড়ান, বড়বালা সহ ৫০ গ্রামের জনসাধারণ রাতে-দিনে এ সাকো ব্রিজ হয়ে নবাবগঞ্জ সদর হয়ে হিলি, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও রংপুর, গাইবান্ধা এলাকায় যাতায়াত করে। ষাটোর্ধ বৃদ্ধ উক্ত চাকপাড়া গ্রামের নুর বকস জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সাকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে ওই সাকো ভেঙ্গে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুজাহিদ, হানিফ মিয়া, শিহাব, তামিম, মেহেদী হাসান, নাজমুল হক, সাব্বির, আরমান সহ অনেকেই জানান, একটি ব্রিজের অভাবে বর্ষা মৌসুমে কলার ভেলা ও ঝুঁকিপূর্ণ সাকো দিয়ে নয়ানী রাঘবেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের লেখাপড়া করতে হয়। অনেক সময় নদীর পানিতে ভিজে স্কুলে যেতে হয়। এছাড়াও রোগী নিয়ে অতিকষ্টে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয়। যথা সময়ে হাসপাতালে পৌছতে না পারলে জরুরী রোগী রাস্তায় মৃত্যুবরণ করে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিকের সাথে যোগাযোগ করে তিনি সাকোর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দিবেন।
এ বিষয়ে ২নং বিনোদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জরুরী সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরী। সরকারিভাবে বরাদ্দ না দেওয়ায় এলাকার জনসাধারণ বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাকোটি নির্মান করে থাকেন। গত ২৫ এপ্রিল এলাকাবাসী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. রেফাউল আজম জানান, আমি এ উপজেলায় যোগদানের পর করতোয়া নদীতে একটি বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপারের তথ্য পেয়েছি, তদন্ত করে ওই নদীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ৫০ গ্রামের মানুষ

আপডেট টাইম : ০২:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

দেশ স্বাধীনের ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ২নং বিনোদনগর ইউনিয়নের নয়ানী রাঘবেন্দ্রপুর উত্তর চাকপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে করতোয়া নদী।
বিনোদনগর ও পাশ্ববর্তী রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর দুই ইউনিয়নের ৫০ গ্রামের জনসাধারণের একমাত্র পারাপারের চাকপাড়ার ঘাট। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফলে ১২০ ফিট দীর্ঘ এই বাঁশের সাকোটি এলাকাবাসীর পারাপারের একমাত্র মাধ্যম। এ রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য গেলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, করতোয়া নদীতে ব্রীজ করে দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেনি, ব্রিজও নির্মাণ হয়নি। মো. আব্দুল আউয়াল জানান, উপজেলার নন্দনপুর, নারায়নপুর, চকদলু, পূর্বজয়দেবপুর, খামার দেবীপুর, বাঁশঝুড়ি, শুখানপুকুর, ভবানীপুর, চাকপাড়া, দক্ষিণ খালিপপুর, টাপু, তেলীপাড়া, পার নারায়নপুর, হিন্দুপাড়া, মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি, কিলপাড়া, নামাপাড়া, মিলনপুর, গোপালপুর, জলাইডাঙ্গা, তরফসাদি, কেশবপুর, দুর্গাপুর, ছড়ান, বড়বালা সহ ৫০ গ্রামের জনসাধারণ রাতে-দিনে এ সাকো ব্রিজ হয়ে নবাবগঞ্জ সদর হয়ে হিলি, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও রংপুর, গাইবান্ধা এলাকায় যাতায়াত করে। ষাটোর্ধ বৃদ্ধ উক্ত চাকপাড়া গ্রামের নুর বকস জানান, ঝুঁকিপূর্ণ সাকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে ওই সাকো ভেঙ্গে অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুজাহিদ, হানিফ মিয়া, শিহাব, তামিম, মেহেদী হাসান, নাজমুল হক, সাব্বির, আরমান সহ অনেকেই জানান, একটি ব্রিজের অভাবে বর্ষা মৌসুমে কলার ভেলা ও ঝুঁকিপূর্ণ সাকো দিয়ে নয়ানী রাঘবেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের লেখাপড়া করতে হয়। অনেক সময় নদীর পানিতে ভিজে স্কুলে যেতে হয়। এছাড়াও রোগী নিয়ে অতিকষ্টে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে হয়। যথা সময়ে হাসপাতালে পৌছতে না পারলে জরুরী রোগী রাস্তায় মৃত্যুবরণ করে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. পারুল বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিকের সাথে যোগাযোগ করে তিনি সাকোর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দিবেন।
এ বিষয়ে ২নং বিনোদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জরুরী সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, ব্রিজ নির্মাণ করা জরুরী। সরকারিভাবে বরাদ্দ না দেওয়ায় এলাকার জনসাধারণ বিভিন্ন গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সাকোটি নির্মান করে থাকেন। গত ২৫ এপ্রিল এলাকাবাসী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. রেফাউল আজম জানান, আমি এ উপজেলায় যোগদানের পর করতোয়া নদীতে একটি বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপারের তথ্য পেয়েছি, তদন্ত করে ওই নদীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।