বন্যায় হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসফ)।
মঙ্গলবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কৃষকদের মাঝে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল হতে এ ঋণ বিতরণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ঋণ কার্যক্রম’ এর নীতিমালার আলোকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল হতে ২০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ মঞ্জুর করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ৮টি সংস্থার অনুকূলে এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে প্রয়োজন অনুযায়ী এই ঋণ বিতরণ করা হবে। দুর্গত মানুষের
দুর্দশা লাঘবে এই সুদমুক্ত ঋণ সহায়তা সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া হাওর অঞ্চলের মানুষের দুর্দশার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন দুর্যোগ সংক্রান্ত নীতিমালার আলোকে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণ গ্রহীতাদের জন্য নিয়মিত ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত রাখার পাশাপাশি সদস্যদের সঞ্চয় তহবিল থেকে অবারিতভাবে সঞ্চয় উত্তোলনের সুযোগ প্রদান করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রত্যন্ত হাওর অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পিকেএসএফ এর উদ্ভাবনীমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করার কর্মসূচি ‘এলআইএফটি’ এর আওতায় আর্থিক সেবা কর্মসূচি ও ‘সমৃদ্ধি’ শীর্ষক অপর একটি কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি নানাবিধ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
প্রাথমিকভাবে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী, মিঠামইন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলা, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা এবং সুনামগঞ্জ জেলার সাল্টা উপজেলায় উদ্যোগটির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
এ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৩৮ জন অতিদরিদ্র সদস্যের মাঝে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন ইউনিয়নে ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এ এলাকায় প্রায় চার হাজার খানা সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় নানাবিধ পরিষেবা গ্রহণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ‘সংরক্ষিত তহবিল’ দ্বারা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা প্রদান করা, পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সাময়িকভাবে প্রবীণ, শিশু ও মহিলাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খাদ্যের সংস্থানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।