বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা ৯২ দিনের অবরোধ-হরতাল নাশকতা কর্মসূচি থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। তার কৌশলী নেতৃত্বের কারণে তিন সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত নারীর জয় ও সর্বশেষ ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তির সব কিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে। এসব কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য বিগত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা সহ¯্র নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে আহ্বায়ক করে একটি নাগরিক উদযাপন কমিটি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিডিউল পাওয়ার পর সংবর্ধনার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তবে সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে আগামী ৩০ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া সভায় ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাত দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। সে অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুলতবি সভা শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দিপু মনি, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।