যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের সামনে হামলার জন্য অভিযুক্ত ধর্মান্তরিত খালিদ মাসুদ ‘সঠিক’ মুসলমান ছিলেন না।
পূর্ব সাসেক্সে খালিদকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন এমন এক নারী এ দাবি করেছেন।
ক্যাসি হ্যাভার্ড নামের ওই নারী জানান, খালিদ পতিতাদের সঙ্গে যৌনকর্ম করতেন, কোকেন সেবন করতেন এবং মানুষকে ছুরি মেরে জখম করতেন।
৫২ বছর বয়সী খালিদ মাসুদ ১৯৬৪ সালে ইংল্যান্ডের কেন্টের ডার্টফোর্ডে এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম নেন। শৈশবের তার নাম আড্রিয়ান ইলমস রাখা হয়। তারা মা জেনেট ইলমস শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ এবং বাবা ফিলিপ আজাও কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন।
আড্রিয়ান ২০০৩ সালে ৩৮ বছরে বয়সে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন। এর দুবছর পর তিনি নিজের নাম রাখেন খালিদ মাসুদ।
গত ২২ মার্চ লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতু এবং সংলগ্ন যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের সামনে হামলা চালান তিনি।
লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছ, মাত্র ৮২ সেকেন্ডের এ হামলায় মাসুদের হাতে চারজন নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে তিনিও নিহত হন।
এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার দায়ে খালিদ প্রথমবার জেলে যান ১৯৮৩ সালের নভেম্বরে।
এরপর ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ছুরি বহনের অভিযোগে দ্বিতীয় দফায় জেলে যান তিনি। ওই সময় কারাগারে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি মুসলিম হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সাবেক বাড়িওয়ালী ক্যাসি হ্যাভার্ডেরে মতে, খালিদ যথার্থ মুসলমান ছিলেন না। তিনি পতিতা ও মাদকে আসক্ত ছিলেন।
খালিদ উন্মাদ ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, একবার এক মাদকাসক্ত বন্ধুর সঙ্গে চার দিন ধরে সময় কাটানোর এক পর্যায়ে তিনি উন্মত্ত হয়ে পড়েন। ওই বন্ধুকে ছদ্মবেশী পুলিশ বলে অভিযুক্ত করেন তিনি।
এরপর আড্রিয়ান পুরোপুরি হিংস্র হয়ে রান্না ঘর থেকে একটি বড় ধরনের ছুরি নিয়ে আসেন। এরপর রুমে ফিরে ওই বন্ধুর চেহারায় কয়েকবার আঘাত করেন।
তখন ৪৩ বছরের খালিদকে তারা ওই বাড়ি থেকে বের করে দেন।
খালিদের আরেক বন্ধু জানান, তিনি কোকেনসহ বিভিন্ন মাদক গ্রহণ করতেন।
আরেক জন বলেন, তিনি ফ্রান্সে নৌকা চুরি করতেন এবং মাছ ধরার জাল লাইসেন্স বিক্রি করতেন।