এতদিন সকলের মনে প্রশ্ন ছিল, “কোথায় আছেন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন?” কিন্তু এবার তার থেকেও কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে সকলে; কিভাবে ভারতে এলেন সালাহ উদ্দিন! শুধু বাংলাদেশ নয়, এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে ভারতকেও। আর তাই সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে তদন্তে নেমেছে মেঘালয় পুলিশ। মেঘালয় পুলিশের আইজিপি (অপারেশন) জিএইচপি রাজু বাংলাদেশের এক গণমাধ্যম প্রতিনিধিকে জানান, কীভাবে তিনি শিলংয়ে এলেন তা বের করতে আমরা চেষ্টা করছি। তিনি কোনো সাধারণ মানুষ নন, তিনি একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার মতো ব্যক্তি তিনি নন।
মেঘালয় সিভিক হাসপাতালে সালাহ উদ্দিন আহমেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকায় এখনও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি পুলিশ। ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে তিনি যে বর্ণনা দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
সালাহ উদ্দিন মেঘালয় পুলিশকে বলেছেন, ঢাকার উত্তরা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে অপহরণ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব। তার বয়স ৫৪ বছর এবং তিনি যে কোনো মূল্যে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান।
মেঘালয় পুলিশ তার সঙ্গে হওয়া কথোপকথোন প্রসঙ্গে বলেন, তিনি বলছেন, তিনি কিছু মনে করতে পারছেন না। অপহৃত হওয়ার পর কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে শিলং এলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না, তাহলে তিনি কীভাবে স্ত্রীর ফোন নম্বর মনে করতে পারলেন।
তিনি বলেন, তিনি (সালাহ উদ্দিন) যদি স্মৃতিভ্রষ্ট হন বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন যেমনটি প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়েছিল, তাহলে তিনি কীভাবে তার স্ত্রীর ফোন নম্বরের মতো নম্বর মনে করতে পারলেন।
বাংলাদেশে তাকে অপহরণকারীরা কেন তাকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শিলংয়ের মতো জায়গায় ফেলে গেলেন, যেখানে বাংলাদেশিদের যাতায়াত তেমন নয়-সে প্রশ্নও আসছে।
সর্বাপরি কেন শিলংয়ে নিয়ে সালাহ উদ্দিনকে অপহরণকারীরা রেখেছেন সেটাও বড় প্রশ্ন বলে মনে করছেন মেঘালয় পুলিশ বিভাগ। তাদের মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কলকাতা বা আগরতলার দিকেই থাকে। শিলংয়ে বাংলাদেশিদের তেমন কোন যাতায়াত নেই। তাহলে সালাহ উদ্দিনকে কিভাবে তারা সকলের অগোচরে নিয়ে আসল!
এই রহস্য উন্মোচনের জন্য এখন বেশ উঠে পড়ে লেগেছে সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা। আপাতত সালাহ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না হলেও হাসপাতাল থেকে অনুমোদন পেলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে মেঘালয় পুলিশ। এদিকে সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতারের বিষয়ে ভারত সরকারের আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকাকে অবহিত করা উচিত বলে নয়া দিল্লি হাই কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন। তবে যাই ঘটুক, আইনী প্রক্রিয়া মেনে আগামী এক মাসের আগে ভারত থেকে সালাহ উদ্দিনের আশা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন মেঘালয়ের পুলিশ বিভাগ।
– See more at: http://www.manobkantha.com/2015/05/13/34554.php#sthash.gBwfJYXY.dpuf
মেঘালয় সিভিক হাসপাতালে সালাহ উদ্দিন আহমেদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকায় এখনও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি পুলিশ। ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে তিনি যে বর্ণনা দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
সালাহ উদ্দিন মেঘালয় পুলিশকে বলেছেন, ঢাকার উত্তরা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে অপহরণ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিব। তার বয়স ৫৪ বছর এবং তিনি যে কোনো মূল্যে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান।
মেঘালয় পুলিশ তার সঙ্গে হওয়া কথোপকথোন প্রসঙ্গে বলেন, তিনি বলছেন, তিনি কিছু মনে করতে পারছেন না। অপহৃত হওয়ার পর কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কীভাবে শিলং এলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না, তাহলে তিনি কীভাবে স্ত্রীর ফোন নম্বর মনে করতে পারলেন।
তিনি বলেন, তিনি (সালাহ উদ্দিন) যদি স্মৃতিভ্রষ্ট হন বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন যেমনটি প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয়েছিল, তাহলে তিনি কীভাবে তার স্ত্রীর ফোন নম্বরের মতো নম্বর মনে করতে পারলেন।
বাংলাদেশে তাকে অপহরণকারীরা কেন তাকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শিলংয়ের মতো জায়গায় ফেলে গেলেন, যেখানে বাংলাদেশিদের যাতায়াত তেমন নয়-সে প্রশ্নও আসছে।
সর্বাপরি কেন শিলংয়ে নিয়ে সালাহ উদ্দিনকে অপহরণকারীরা রেখেছেন সেটাও বড় প্রশ্ন বলে মনে করছেন মেঘালয় পুলিশ বিভাগ। তাদের মতে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কলকাতা বা আগরতলার দিকেই থাকে। শিলংয়ে বাংলাদেশিদের তেমন কোন যাতায়াত নেই। তাহলে সালাহ উদ্দিনকে কিভাবে তারা সকলের অগোচরে নিয়ে আসল!
এই রহস্য উন্মোচনের জন্য এখন বেশ উঠে পড়ে লেগেছে সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা। আপাতত সালাহ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা না হলেও হাসপাতাল থেকে অনুমোদন পেলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে মেঘালয় পুলিশ। এদিকে সালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতারের বিষয়ে ভারত সরকারের আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকাকে অবহিত করা উচিত বলে নয়া দিল্লি হাই কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন। তবে যাই ঘটুক, আইনী প্রক্রিয়া মেনে আগামী এক মাসের আগে ভারত থেকে সালাহ উদ্দিনের আশা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন মেঘালয়ের পুলিশ বিভাগ।
– See more at: http://www.manobkantha.com/2015/05/13/34554.php#sthash.gBwfJYXY.dpuf