রমজানের একাদশ দিবস হতে আরম্ভ হয় মাগফিরাত লাভের পালা। রমজানের চাঁদের পূর্ণতা যেমন হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি রোজাদার বান্দাদের পাপও মুছে যাচ্ছে। আল্লাহপাক তাঁর বাছাইকৃত মোমিন বান্দাদেরকে রহমতের আবরণে আচ্ছাদিত করে তাঁদের আমলনামা থেকে পাপরাশি মুছে ফেলার কাজে নিয়োজিত করেছেন হাজার হাজার ফেরেশতা। রমজানের আসল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহভীতি অর্জন। আর আল্লাহভীতির ফলে যে সব মোমিন বান্দা ইসলামের নৈতিক বিষয়ের প্রতি মনযোগী হয়ে নিজেকে, সংশোধিত, সংযমী ও ইবাদতকারী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে, তাঁদেরকে আল্লাহপাক পাপমুক্ত করে পবিত্র করে তুলেন। আর এ রকম বান্দাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে বেহেস্তের সুখ শান্তি। মোমিনের আত্মা, রশি বাঁধা ঘোড়ার মতো মূলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যাতে সে সীমা লঙ্ঘন করতে পারে না। তবুও শয়তানের প্ররোচনায় মানব আত্মা অনেক সময় নড়বড়ে হয়ে যায়। তখনই জ্ঞান, বুদ্ধি, চিন্তা, চেতনা, প্রবৃত্তির দাসত্বের আবরণে ঢেকে যায়। ঢেকে যায় মানুষের বিবেক। এ মানবিক বিবেক কে জাগ্রত করে স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করার জন্য আল্লাহপাক সিয়াম সাধনার নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদ শিরোনাম