ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মায়ার মন্ত্রিত্বে আইনগত বাধা নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০১৫
  • ৩১০ বার
দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মন্ত্রিত্বে আইনগত বাধা নেই বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন। তবে এটা তার ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, সে ক্ষেত্রে বিচার শেষ হওয়ার আগে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না। রবিবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‌্যাক)’ এর নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত ২২ জুন মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান মায়ার মন্ত্রী ও সাংসদ পদে থাকা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন।
দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ বক্তব্যের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে একমত নই। জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। ওই রায়ে আদালত অবৈধভাবে অর্জিত মায়ার ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন। ২০০৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মায়া। ২০১০ সালের ২৭শে অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুর্নীতির মামলা থেকে তাকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মায়ার মন্ত্রিত্বে আইনগত বাধা নেই

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০১৫
দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর মন্ত্রিত্বে আইনগত বাধা নেই বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন। তবে এটা তার ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, সে ক্ষেত্রে বিচার শেষ হওয়ার আগে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় না। রবিবার দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‌্যাক)’ এর নতুন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গত ২২ জুন মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান মায়ার মন্ত্রী ও সাংসদ পদে থাকা সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেন।
দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দুদকের আইনজীবীর এ বক্তব্যটি তার ব্যক্তিগত। এ বক্তব্যের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে একমত নই। জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। ওই রায়ে আদালত অবৈধভাবে অর্জিত মায়ার ৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন। ২০০৯ সালে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন মায়া। ২০১০ সালের ২৭শে অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুর্নীতির মামলা থেকে তাকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।