ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগাম নির্বাচন সরকারের না বিএনপির হ্যাঁ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০১৫
  • ৩৬৬ বার

আগাম নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেউ এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য না দিলেও সরকারের ভিতরে আগাম নির্বাচন নিয়ে জোর আলোচনা আছে। যদিও প্রকাশ্য বক্তব্যে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, পাঁচ বছর মেয়াদের একদিন আগেও জাতীয় নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির ভিতরে-বাইরে এ আলোচনা এখন তুঙ্গে।

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের ধারণা, নির্ধারিত মেয়াদের আগেই সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেবে। ২০১৬ সালের শেষনাগাদ বা ২০১৭ সালের প্রথমদিকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই নির্বাচনে বিএনপি মূল ধারা অংশ নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা। সরকারের অংশীদার জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার মুখেও আগাম নির্বাচনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে জাপা নেতারা প্রকাশ্যে এ নিয়ে আপাতত কিছু বলতে চাচ্ছেন না। পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর আগাম নির্বাচনের বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও জাপা সূত্র জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, আগাম নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদের একদিন আগেও নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। দেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালেই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের হাইকমান্ডের লক্ষ্য এখন উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করা। পাশাপাশি তৃণমূল সংগঠনকে আরও সংগঠিত করা হবে। অবশ্য সরকারের ভিতরেরই একাধিক সূত্র জানায়, আগামী বছরের যে কোনো সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে আরও দুর্বল করা, বিশেষ করে বিএনপির একটি অংশকে দলছুট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা নিশ্চিত হলেই সরকার নির্বাচনের পথে এগোবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশে আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনোই সম্ভাবনা নেই। যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশে এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। দেশে কোনো সংকট নেই। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সরকার। জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার একদিন আগেও দেশে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ পরবর্তী নির্বাচন ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘চার বছর অপেক্ষা করুন। পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না তেমনি নির্বাচন ছাড়া দল বাঁচে না। তেমনি নির্বাচন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল বাঁচতে পারে না। বিএনপির প্রতি পরামার্শ থাকবে, দল গোছান, ২০১৯ সালের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’  বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘সরকার পূর্ণ মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনও বর্তমান সংবিধান মোতাবেকই অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আগামী বছরের মধ্যে তারা একটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি, বৈদেশিক অবস্থানসহ নানা কারণে সরকার এ নির্বাচন দেবে। বিশেষ করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচন দেশে-বিদেশে কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। সিংহভাগ ১৫৩টি সংসদীয় আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ সরকার নৈতিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা করা হচ্ছে। দলের একাধিক নেতা জানান, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাজা এবং সিনিয়র নেতাদের একটি অংশকে দল থেকে বের করার বিষয়টি নিশ্চিত হলেই নতুন নির্বাচন দেবে সরকার। জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ছোট ছোট কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাধ্যমে বিএনপির একটি অংশকে বের করে নিয়ে আসার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। নেতারা বলেন, ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগেও বিএনপি ভেঙে দলটির একাংশকে নির্বাচনে আনার নানা চেষ্টা করেছিল সরকার। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। একইভাবে ২০-দলীয় জোটকেও ভাঙার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু দুই-একজন নেতা বাদে কেউই জোট ছাড়েননি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে যে ধরনের তৎপরতা শুরু হয়, তা আবারও পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানান তারা। দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, বিএনপির সামনে আরও একটি বড় ঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি শক্ত হাতে তা মোকাবিলা করতে পারেন, তাহলে এ ঝড়েও কিছু হবে না। হয়তো কিছু লোক দল থেকে বেরিয়েও যেতে পারে। এতে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না। জনপ্রিয় দল বিএনপিকে হয়তো আরও কিছু দিন ক্ষমতার বাইরে থাকতে হবে। কিন্তু নির্বাচন যখনই হবে, বিএনপির বিজয় অনিবার্য। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘যেহেতু ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি, তাই আমাদের দাবি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্ধারিত মেয়াদের আগেই এ নির্বাচন হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। তবে নির্বাচনের পদ্ধতি কী ধরনের হবে- তা নিয়ে দুই শীর্ষ নেত্রী আলোচনা করতে পারেন। যে কোনো মূল্যে আমরা সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।’ দল ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারবে না। কারণ বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। সাময়িক কিছু অসুবিধা হতে পারে। এর আগে বি. চৌধুরী, অলি আহমদ, মান্নান ভূঁইয়া, নাজমুল হুদা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল করেছেন। কিন্তু কেউই সফল হননি। ভবিষ্যতেও দলের কোনো নেতা বেরিয়ে গেলে বিএনপির কোনো সমস্যা হবে না। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এ দলটি আপন মহিমায় টিকে থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আগাম নির্বাচন সরকারের না বিএনপির হ্যাঁ

আপডেট টাইম : ০৭:৪৩:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০১৫

আগাম নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেউ এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য না দিলেও সরকারের ভিতরে আগাম নির্বাচন নিয়ে জোর আলোচনা আছে। যদিও প্রকাশ্য বক্তব্যে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, পাঁচ বছর মেয়াদের একদিন আগেও জাতীয় নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির ভিতরে-বাইরে এ আলোচনা এখন তুঙ্গে।

বিএনপির নীতিনির্ধারকদের ধারণা, নির্ধারিত মেয়াদের আগেই সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেবে। ২০১৬ সালের শেষনাগাদ বা ২০১৭ সালের প্রথমদিকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই নির্বাচনে বিএনপি মূল ধারা অংশ নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তারা। সরকারের অংশীদার জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার মুখেও আগাম নির্বাচনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে জাপা নেতারা প্রকাশ্যে এ নিয়ে আপাতত কিছু বলতে চাচ্ছেন না। পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর আগাম নির্বাচনের বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও জাপা সূত্র জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, আগাম নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদের একদিন আগেও নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই। দেশে এখন রাজনৈতিক স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিকভাবেও দেশের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালেই শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের হাইকমান্ডের লক্ষ্য এখন উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করা। পাশাপাশি তৃণমূল সংগঠনকে আরও সংগঠিত করা হবে। অবশ্য সরকারের ভিতরেরই একাধিক সূত্র জানায়, আগামী বছরের যে কোনো সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে আরও দুর্বল করা, বিশেষ করে বিএনপির একটি অংশকে দলছুট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সিনিয়র নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা নিশ্চিত হলেই সরকার নির্বাচনের পথে এগোবে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশে আগাম বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনোই সম্ভাবনা নেই। যে কোনো সময়ের চেয়ে দেশে এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। দেশে কোনো সংকট নেই। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার সরকার সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সরকার। জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার একদিন আগেও দেশে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ পরবর্তী নির্বাচন ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘চার বছর অপেক্ষা করুন। পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না তেমনি নির্বাচন ছাড়া দল বাঁচে না। তেমনি নির্বাচন ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল বাঁচতে পারে না। বিএনপির প্রতি পরামার্শ থাকবে, দল গোছান, ২০১৯ সালের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’  বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘সরকার পূর্ণ মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনও বর্তমান সংবিধান মোতাবেকই অনুষ্ঠিত হবে।’

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, আগামী বছরের মধ্যে তারা একটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতি, বৈদেশিক অবস্থানসহ নানা কারণে সরকার এ নির্বাচন দেবে। বিশেষ করে গত বছরের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচন দেশে-বিদেশে কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। সিংহভাগ ১৫৩টি সংসদীয় আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এ সরকার নৈতিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে মধ্যবর্তী নির্বাচনের চিন্তা করা হচ্ছে। দলের একাধিক নেতা জানান, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাজা এবং সিনিয়র নেতাদের একটি অংশকে দল থেকে বের করার বিষয়টি নিশ্চিত হলেই নতুন নির্বাচন দেবে সরকার। জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ছোট ছোট কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাধ্যমে বিএনপির একটি অংশকে বের করে নিয়ে আসার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। নেতারা বলেন, ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের আগেও বিএনপি ভেঙে দলটির একাংশকে নির্বাচনে আনার নানা চেষ্টা করেছিল সরকার। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। একইভাবে ২০-দলীয় জোটকেও ভাঙার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু দুই-একজন নেতা বাদে কেউই জোট ছাড়েননি। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে যে ধরনের তৎপরতা শুরু হয়, তা আবারও পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানান তারা। দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য জানান, বিএনপির সামনে আরও একটি বড় ঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি শক্ত হাতে তা মোকাবিলা করতে পারেন, তাহলে এ ঝড়েও কিছু হবে না। হয়তো কিছু লোক দল থেকে বেরিয়েও যেতে পারে। এতে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না। জনপ্রিয় দল বিএনপিকে হয়তো আরও কিছু দিন ক্ষমতার বাইরে থাকতে হবে। কিন্তু নির্বাচন যখনই হবে, বিএনপির বিজয় অনিবার্য। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘যেহেতু ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন কারও কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়নি, তাই আমাদের দাবি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। নির্ধারিত মেয়াদের আগেই এ নির্বাচন হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। তবে নির্বাচনের পদ্ধতি কী ধরনের হবে- তা নিয়ে দুই শীর্ষ নেত্রী আলোচনা করতে পারেন। যে কোনো মূল্যে আমরা সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।’ দল ভাঙা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপিকে কেউ ভাঙতে পারবে না। কারণ বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। সাময়িক কিছু অসুবিধা হতে পারে। এর আগে বি. চৌধুরী, অলি আহমদ, মান্নান ভূঁইয়া, নাজমুল হুদা দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল করেছেন। কিন্তু কেউই সফল হননি। ভবিষ্যতেও দলের কোনো নেতা বেরিয়ে গেলে বিএনপির কোনো সমস্যা হবে না। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এ দলটি আপন মহিমায় টিকে থাকবে।