বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থানরত চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে একটি দ্বীপে স্থানান্তরের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রায় ৬০ টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ সহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
রোহিঙ্গাদের হাতিয়া দ্বীপের কাছে ঠেংগামারা চরে স্থানান্তর, তার আগে সেখানে আবাসন, স্কুল বা রাস্তাঘাটের মতো অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা তৈরীতে এই সহযোগিতা চাওয়া
হয়েছে।
এই দ্বীপের আবাসনকে সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কূটনীতিকদের জন্য আয়োজিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ব্রিফিংটি ছিল রুদ্ধদ্বার।
পরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রণালয় জানায়, ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া প্রায় ষাট জন রাষ্ট্রদূত,হাইকমিশনার বা মিশন প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে জানানো হয়েছে, কক্সবাজারের সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং তাতে নানা রকম অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে।
তাদের জন্য সেখানে আর নতুন করে আবাসনের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, মানবিক সহায়তাও তাদের দেয়া যাচ্ছে না, তা ছাড়া সীমান্ত সংশ্লিষ্ট নানা অপরাধী নেটওয়ার্কেও রোহিঙ্গাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি এড়াতেই ঠেঙ্গার চরে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সরকার ব্রিফিংয়ে জানায়।
কূটনীতিকদের তরফ থেকে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহায়তা দেবার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। -বিবিসি।