তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাবিব এজিদ শনিবার বলেছেন, দেশে সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে প্রায় ৮০টি মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হবে। তিউনিশিয়ার একটি সমুদ্র সৈকতের পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে হামলায় ৩৯ জন নিহত হওয়ার পর তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এসব মসজিদ দেশে ‘বিষ’ ছড়াচ্ছে এবং এগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হবে। মসজিদগুলো রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
শুক্রবার তিউনিশিয়ার অবকাশ যাপন শহর সুসেতে পর্যটকদের ওপর এক বন্দুকধারী বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করে।
ইসলামিক স্টেট গ্রুপ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। নিহতদের মধ্যে তিউনিশিয়া, ব্রিটেন, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডের নাগরিক রয়েছে।
হামলা চালানো বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। কর্মকর্তারা জানান, সে একজন শিক্ষার্থী ছিল। এর আগে সে কর্তৃপক্ষের কাছে অপরিচিত ছিল।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসের পর তিউনিশিয়ায় পর্যটকদের ওপর এটি ছিল দ্বিতীয় বড় ধরনের হামলার ঘটনা। এর আগে রাজধানীর একটি জাদুঘরে জঙ্গি হামলায় ২২ জন নিহত হয়। এদের অধিকাংশ ছিল বিদেশি নাগরিক।
তিউনিসে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকলে এজিদ বলেন, ‘কিছু মসজিদ দেশে সন্ত্রাসবাদ উস্কে দিতে প্রচারণা ও বিষ ছড়ানো অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসব মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হবে।
এসময় এজিদ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত গ্রুপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শুক্রবারের হামলার বরাত দিয়ে এজিদ বলেন, ওই পর্যটন কেন্দ্রে হামলায় নিহত অধিকাংশ ব্রিটিশ নাগরিক। তবে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি।
এর আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড ওই হামলায় কমপক্ষে পাঁচ ব্রিটিশ নাগরিকের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন।