মূলত মুসলিমদের নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মূলত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তার সহযোগী রুডি জুলিয়ানি।

হোয়াইট হাউসের সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জুলিয়ানি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা ও সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করার নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে ‘মুসলিম নিষিদ্ধ’ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ট্রাম্প।

নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুসলিমদের বের করে দেবেন এবং তাদের দেশে ঢুকতে দেবেন না। সেই আলোকে নির্বাহী আদেশ জারি করতে চেয়েছিলেন তিনি।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কি ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত- এমন এক প্রশ্নের জবাবে শনিবার রাতে ফক্স নিউজকে রুডি জুলিয়ানি বলেন, প্রথম যখন আদেশের বিষয়ে কথা হয়, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘মুসলিমরা নিষিদ্ধ’।

নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন মেয়র ও হোয়াইট হাউসের সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জুলিয়ানি জানান, মুসলিমদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ট্রাম্প তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প তাকে বলেছিলেন, ‘বৈধতার সঙ্গে কীভাবে এ কাজ করা যায়, আমাকে পথ দেখান।’

জুলিয়ানি ফক্স নিউজকে জানান, যখন তিনি ও আইন বিশেষজ্ঞ দল মিলে অভিবাসন আইন কঠোর করার খসড়া তৈরি করেন, তখন ধর্মের বিপজ্জনকতা বাদ দিয়েই তাতে মনোযোগ দেন। তারপরও এই আদেশ জারির পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

শুক্রবার অভিবাসনসম্পর্কিত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। সাময়িক এ আদেশ অনুযায়ী, আগামী চার মাস যুক্তরাষ্ট্রে কোনো শরণার্থী প্রবেশ করতে পারবে না। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া, ইরাক, ইরান, ইমেয়েন ও আফ্রিকার সুদান, সোমালিয়া ও লিবিয়ার নাগরিকদের আগামী তিন মাস ভিসা দেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে মুসলিম-অধ্যুষিত এসব দেশ বেছে নেওয়ার কারণ হলো, দেশগুলো বিশ্বের এমন অঞ্চলে অবস্থিত, যা আমাদের জন্য বিপজ্জনক। জুলিয়ানি দাবি করেন, ঘটনাপ্রবাহের ভিত্তিতে তারা আদেশের খসড়া তৈরি করেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে নয়।

ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বের অধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সোচ্চার হয়েছে। এ আদেশ বাতিল চেয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের অংশবিশেষ স্থগিত করেছেন। নির্বাহী আদেশের কারণে যেসব শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না অথবা যাদের আটক করা হয়েছে, আদালত তাদের ছেড়ে দিতে বলেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর