ভারতীয় ভিসা পেতে ভোগান্তির ই টোকেন পদ্ধতি আংশিক উঠে যাচ্ছে পয়লা জানুয়ারি থেকে। ভারতে ভ্রমণ ভিসার আবেদন করতে ই-টোকেন লাগবে না বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন।
বুধবার ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান, ট্রেন বা বাসের টিকিটসহ এই ভিসার আবেদন জমা দেয়া শুধুমাত্র রাজধানীর শ্যামলীতে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিক্যাশন সেন্টারের (আইভিএসি) মিরপুর কেন্দ্রে। সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত এই আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। টুরিস্ট ছাড়াও প্রবীণ নাগরিকরা এই সুবিধা পাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভ্রমণের তারিখ ভিসা আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সাত দিন পরের কিন্তু এক মাসের মধ্যের হতে হবে।’
পৃথিবীতে যত মানুষ ভারতে ঘুরতে যায়, তার মধ্যে একটি বড় অংশই বাংলাদেশের। কিন্তু দেশটির ভিসা পেতে বরাবর ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে। এই আবেদন করতে ই টোকেন সংগ্রহ করতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ আছে।
গত ২৭ নভেম্বর মাদারীপুরে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, স্বল্প মেয়াদী ভিসার বদলে পাঁচ বছর মেয়াদী ভিসা দেয়ার চিন্তা করছে তার দেশ। সেই সঙ্গে ভোগান্তির ই টোকেন বন্ধ করে দেয়া হবে।
এর এক মাস পর হাইকমিশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়ে ভারতে ঘুরতে যাওয়ার ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ই-টোকেনধারী আবেদনকারীরা তাদের টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন গুলশান, উত্তরা, মতিঝিল, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, যশোর, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে পারবেন।
এর আগে মেডিকেল ভিসাসহ অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে ই-টোকেন ছাড়া আবেদনের সুযোগ দিয়েছে ভারত।