২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আকন্দকে জেরা অব্যাহত রেখেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
সোমবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন আসামি মহিবুল মোত্তাকিন ও শহীদ শহীদুল আলম বিপুলের পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।
জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী আসামিদের পক্ষে জেরার জন্য ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে ১৮ আসামির পক্ষে জেরা শেষ করেছেন আইনজীবীরা। মামলায় ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিনশতাধিক নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় পরদিন মতিঝিল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ, এরপর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, সর্বশেষে মামলাটি যায় সিআইডিতে। ২০০৮ সালের ১১ জুন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলাটি তদন্তের ভার পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন। তবে মামলায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তার নাম বাদ দেয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৫১।
৫১ আসামির মধ্যে তারেক রহমানসহ পলাতক ১৮ জন। জামিনে রয়েছেন ৮ জন এবং কারাগারে ২৫ জন। পলাতকরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, সাবেক এমপি কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদ, হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হানিফ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, রাতুল বাবু, ডিএমপির সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান, ডিএমপির সাবেক ডিসি (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার, মেজর (অব.) এটিএম আমিন, মাওলানা তাজউদ্দিন, ঝিনাইদহের ইকবাল, বরিশালের মাওলানা আবু বকর, মাগুরার খলিলুর রহমান, ঢাকা দোহারের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর ও গোপালগঞ্জের মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার এবং ভারতের তিহার কারাগারে আটক হুজির সদস্য আনিসুল মোরসালিন ও মহিবুল মোত্তাকিন।