ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
গোপালগঞ্জে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার মিশনের কার্যক্রম শুরু ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার সাহস বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আছে: ফারুক ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতবো, ভয়ের কারণ নেই: নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনে জাতীয় ঐক্যের ফাটল মেরামত করুন : মুসলিম লীগ হাঁটুর বয়সী নায়কের সঙ্গে কারিনার প্রেম জালিয়াতি করলে আজীবনের জন্য মার্কিন ভিসা বাতিল সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানজট-ভোগান্তির জন্য আগাম ক্ষমা চাইলো জামায়াত সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হাতিরঝিলে যান চলাচল বন্ধ ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিটের মূল্য, ক্রয়ের সময় ও নিয়ম– যা জানা দরকার

জিয়ার ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০১৫
  • ৫০২ বার

একদিন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে হেলিকপ্টারে উঠলাম। তখন সময় সকাল সাড়ে ন’টা। প্রেসিডেন্ট সাহেবের হাতের ঘড়িতে দেখি ঘড়ির কাটা সাড়ে সাতটা। তখন, আমি বললাম স্যার আপনার ঘড়িটা বোধহয় ঠিক না। তিনি হেসে বললেন যে, আমার একটা ভালো ঘড়ি ছিল। আর্মিতে থাকার সময় কুমিল্লার এক মিটিং এ হারিয়ে ফেলেছি। তারপর ঘড়িটি খুলে তিনি এডিসি সাহেবকে দিলেন ঠিক করে নিয়ে আসার জন্য। পরে এডিসি সাহেব আমাকে বললেন, স্যার এই সাড়ে চারশ’ টাকার ঘড়ি আর কতদিন যাবে বলেন তো? ঘড়ি মেরামতের দোকানিরা বললেন, এটার ভেতরে সবকিছু পুরনো হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এর পার্সগুলো নতুন লাগিয়ে দেই। আমি বললাম যে, এটা যদি প্রেসিডেন্ট সাহেব জানেন তাহলে একেবারে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে দিবেন। যেমনটি আছে ঠিক তেমনটিই ঠিক করে নিয়ে আসেন। অবশেষে একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও সাড়ে চারশ’ টাকার ঘড়ি পড়ে মারা গেলেন।
জাতীয় পার্টি দলীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, অথচ বঙ্গভবনে সেসময় ১৪-১৫টি দামি ঘড়ি ছিল যেগুলোর এক একটির মূল্য ছিল প্রায় তিন লক্ষ টাকা। কেএম কায়সার সাহেব তখন বাংলাদেশের জাতিসংঘ প্রতিনিধি। তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াকে একটি দামি ঘড়ি উপহ্রা দিয়েছিলেন। আরেক বার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে মরহুম আকবরকে তেলের জন্য পাঠিয়েছিলেন। দেখলাম যে সেখান থেকে একটি ঘড়ি দিয়ে দিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সোহার্তোকে উপহার দেয়ার জন্য। এ ঘড়িগুলো বিদেশিরা উপঢৌকন হিসেবে দিতেন। কিন্তু তিনি কোনদিনই নিজের জন্য এগুলো ব্যবহার করেন নাই। বঙ্গভবনে সাজিয়ে রাখতেন। এগুলো আমাদের চোখের সামনে দেখা আদর্শ।
নোট: এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল এমপি’র লেখা বইটির বিভিন্ন অংশ মানবজমিন অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গোপালগঞ্জে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে

জিয়ার ঘড়িতে তখন সাড়ে সাতটা

আপডেট টাইম : ০৪:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০১৫

একদিন প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে হেলিকপ্টারে উঠলাম। তখন সময় সকাল সাড়ে ন’টা। প্রেসিডেন্ট সাহেবের হাতের ঘড়িতে দেখি ঘড়ির কাটা সাড়ে সাতটা। তখন, আমি বললাম স্যার আপনার ঘড়িটা বোধহয় ঠিক না। তিনি হেসে বললেন যে, আমার একটা ভালো ঘড়ি ছিল। আর্মিতে থাকার সময় কুমিল্লার এক মিটিং এ হারিয়ে ফেলেছি। তারপর ঘড়িটি খুলে তিনি এডিসি সাহেবকে দিলেন ঠিক করে নিয়ে আসার জন্য। পরে এডিসি সাহেব আমাকে বললেন, স্যার এই সাড়ে চারশ’ টাকার ঘড়ি আর কতদিন যাবে বলেন তো? ঘড়ি মেরামতের দোকানিরা বললেন, এটার ভেতরে সবকিছু পুরনো হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এর পার্সগুলো নতুন লাগিয়ে দেই। আমি বললাম যে, এটা যদি প্রেসিডেন্ট সাহেব জানেন তাহলে একেবারে ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে দিবেন। যেমনটি আছে ঠিক তেমনটিই ঠিক করে নিয়ে আসেন। অবশেষে একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও সাড়ে চারশ’ টাকার ঘড়ি পড়ে মারা গেলেন।
জাতীয় পার্টি দলীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, অথচ বঙ্গভবনে সেসময় ১৪-১৫টি দামি ঘড়ি ছিল যেগুলোর এক একটির মূল্য ছিল প্রায় তিন লক্ষ টাকা। কেএম কায়সার সাহেব তখন বাংলাদেশের জাতিসংঘ প্রতিনিধি। তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াকে একটি দামি ঘড়ি উপহ্রা দিয়েছিলেন। আরেক বার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে মরহুম আকবরকে তেলের জন্য পাঠিয়েছিলেন। দেখলাম যে সেখান থেকে একটি ঘড়ি দিয়ে দিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সোহার্তোকে উপহার দেয়ার জন্য। এ ঘড়িগুলো বিদেশিরা উপঢৌকন হিসেবে দিতেন। কিন্তু তিনি কোনদিনই নিজের জন্য এগুলো ব্যবহার করেন নাই। বঙ্গভবনে সাজিয়ে রাখতেন। এগুলো আমাদের চোখের সামনে দেখা আদর্শ।
নোট: এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল এমপি’র লেখা বইটির বিভিন্ন অংশ মানবজমিন অনলাইনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।