ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন মসজিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা অপরাধমুক্ত সমাজ তৈরি করা সম্বভ।কেননা সমাজে যখন মানুষ নিয়মিত নামাজ পড়েন তখন খারাপকাজ, গুনাহ,র কাজ অশ্লিলতা কমে যায়।নামাজের কারনে মানুষ ইহকাল পরকালে শান্তি পান।
নামাজের কারনে মানুষের কলব বরপের মত গলে যায়।নামাজ রোজার কারনে মানুষ সহজে হিংস্র হতে পারেনা,অন্যর ক্ষতি করতে পারেনা।নামাজ,রোজা হজ্জ যাকাত নফল এবাদতে মানুষের কল্যান আর কল্যান,সওয়াব আর সওয়াব।
তিনি আজ (৪জুলাই) শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে দৃষ্টিনন্দন রাউজান মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এইসব কথা বলেন। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল হাওলাদার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) আবদুস সালাম খান, প্রকল্প পরিচালক মো. শহীদুল আলম। জুমার নামাজে ইমামতি করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মাওলানা জসিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংচিং মারমা, বিএনপি নেতা আবু জাফর চৌধুরী, ডা. বাহারুল আলম,মোঃ জসিম, আমাত উল্লাহ চৌধুরী বাবুল, আবু জাফর, শরিফ উল্লাহ শরীফ, কাজী মো. ইব্রাহিম, আমিনুল হক কোম্পানি প্রমুখ।
জানা গেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর।চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়কের জলীল নগর রাউজান প্রেসক্লাবের বিপরীতে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি ১২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অনকূলে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ কাজ পান। আদৌ কত টুক কাজ শেষ করেছে তা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। নির্মিত এই মসজিদে একসঙ্গে ১হাজার ২শ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
নির্ধারিত নকশা অনুসারে রাউজানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে থাকছে নারী ও পুরুষদের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কোরআন হেফজ, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন, ইমামদের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা।