জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে টিআর ও কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পের নামে হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে টিআর ও কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়মিত মনিটরিং না থাকায়, সারা উপজেলায় এমনটি হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর/কাবিখা/কাবিটা) কর্মসূচি প্রকল্পের আওয়াতায় উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে বাশঁরী পাকা রাস্তা হতে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য লাকি আক্তার। অপরদিকে মোয়াটি মোড় হতে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ পায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। প্রকল্পের সভাপতি ইউটি সদস্য এলাই মিয়া।
সোমবার প্রকল্প এলাকায় গেলে, বাশঁরী পাকা রাস্তা হতে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তার প্রায় অর্ধেকাংশ রেখেই কাজ সমাপ্তি। অন্য দিকে মোয়াটি মোড় হতে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তার এক চতুর্থাংশ কাজ করেই প্রকল্পের সমাপ্তি টানে। নিয়মানুযায়ী প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দের সাইন বোর্ড থাকার কথা থাকলেও কোন সাইন বোর্ড পাওয়া যায়নি।
এ সময় নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আমরা মাটি দিতে পারি নাই বলে এ কাজটি করে নাই। এখন যেভাবে কাজ করেছে বৃদ্ধ মানুষত দূরের কথা সুস্থ মানুষও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। এ সড়কে একটি সেতু রয়েছে। সেতুর এ্যাপ্রোচেও মাটি ফেলা হয়নি। রাস্তাটি সঠিক পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের জোড় সুপারিশ করছি।
বাশঁরী পাকা রাস্তা হতে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট প্রকল্পের সভাপতি লাকী আক্তার জানান, আমি নামে মাত্র সভাপতি আছি। মূলত কাজ করছে প্রকল্পের সেক্রেটারি বিএনপি নেতা হেলাল মিয়া।
মোয়াটি মোড় হতে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রকল্পের সভাপতি আওয়ামী নেতা এলাই মিয়া জানান, আমার প্রকল্পের যতটুকু কাজ দরকার ছিল তা করেছি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, প্রকল্প পরিদর্শন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।