ঢাকা ০২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ২৮ বার

গ্রীষ্মকালে শরীর সতেজ ও সুস্থ রাখতে যেসব ফল উপকারী, তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি হজমে সহায়তা, পানিশূন্যতা রোধ, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো ও ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা দিক থেকে শরীরের উপকার করে।

প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বাড়ায়

কাঁঠালে থাকে সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি, ফলে গরমে শরীরকে সক্রিয় ও শক্তিশালী রাখতে এটি দারুণ কার্যকর।

হজমে সহায়তা করে

কাঁঠালে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি মল সহজে বের হতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ফলে হজমনালী পরিষ্কার থাকে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় থাকে।

পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁঠালের পাকা অংশে প্রায় ৮৯.৮৫% জলীয় উপাদান থাকে, যা গরমে ঘামের মাধ্যমে হারানো পানি পূরণে সহায়ক। এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট শরীরের জলীয় ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা বা ক্লান্তির ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গরমকালে ঠাণ্ডা, সর্দি বা ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি, প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।

ত্বকের জন্য উপকারী

কাঁঠালের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরের অক্সিডেটিভ চাপ কমায়, ফলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল থাকে। এর উচ্চ জলীয় উপাদান গ্রীষ্মের রুক্ষতা, ব্রণ ও ত্বকের নির্জীবতা দূর করতে সহায়তা করে, ত্বক করে তোলে সতেজ ও কোমল।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

মিষ্টি হলেও কাঁঠালে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কম। এতে থাকা আঁশ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

এভাবে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক একটি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে কাজ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীর সুস্থ রাখতে কাঁঠালের উপকারিতা

আপডেট টাইম : ১০:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

গ্রীষ্মকালে শরীর সতেজ ও সুস্থ রাখতে যেসব ফল উপকারী, তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি হজমে সহায়তা, পানিশূন্যতা রোধ, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো ও ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা দিক থেকে শরীরের উপকার করে।

প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বাড়ায়

কাঁঠালে থাকে সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি, ফলে গরমে শরীরকে সক্রিয় ও শক্তিশালী রাখতে এটি দারুণ কার্যকর।

হজমে সহায়তা করে

কাঁঠালে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি মল সহজে বের হতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। ফলে হজমনালী পরিষ্কার থাকে এবং অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় থাকে।

পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করে

কাঁঠালের পাকা অংশে প্রায় ৮৯.৮৫% জলীয় উপাদান থাকে, যা গরমে ঘামের মাধ্যমে হারানো পানি পূরণে সহায়ক। এতে থাকা ইলেকট্রোলাইট শরীরের জলীয় ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা বা ক্লান্তির ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁঠাল শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গরমকালে ঠাণ্ডা, সর্দি বা ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি, প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।

ত্বকের জন্য উপকারী

কাঁঠালের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতরের অক্সিডেটিভ চাপ কমায়, ফলে ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল থাকে। এর উচ্চ জলীয় উপাদান গ্রীষ্মের রুক্ষতা, ব্রণ ও ত্বকের নির্জীবতা দূর করতে সহায়তা করে, ত্বক করে তোলে সতেজ ও কোমল।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

মিষ্টি হলেও কাঁঠালে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কম। এতে থাকা আঁশ পেট ভরাট রাখতে সাহায্য করে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

এভাবে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক একটি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে কাজ করে।