কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ৮ ইউনিয়নের প্রতিটি মাঠের বুকে এখন শুধু সবুজের সমারোহ। আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। মৌসুমের শুরুর দিকে বন্যার কিছুটা প্রভাব থাকায় আমন চাষ নিয়ে কৃষকেরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।

কিন্তু বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হাসি ফুটেছে। নওগাঁ জেলার খাদ্যশস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত আত্রাইয়ের মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদচারণয় মুখরিত হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। গতবারের ভয়াবহ বন্যায় এলাকাবাসীর সব ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এবারে আমন চাষ নিয়ে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্তের শিকার হন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। আত্রাই এলাকা বন্যাদুর্গত এলাকা হিসাবে এ অঞ্চলের কৃষকেরা এবার আমন চাষকে সৌভাগ্য হিসাবে মনে করছেন। এদিকে উপজেলার ডিলারদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল ও সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটা আশ্বস্ত হয়েছে। নওগাঁ জেলার খাদ্য উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে আত্রাই।

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে আমরা অধিক হারে আমন ধান চাষ করেছি। আশা করছি এবার আমন ধানে বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার নওদুলি গ্রামের মোবারক হোসেন জানান, প্রতিটা বছরের বন্যার কারণে আমাদের মাঠে আমন চাষ হতো না। কিন্তু এবার বড় ধরণের বন্যা না হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হবো এবং বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।

আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম কাউছার বলেন, আমন ধান চাষে কৃষকেরা যাতে লাভবান হতে পারে এবং কৃষকরা যেন আমন চাষে কোন প্রকার সমস্যায় না পড়েন সেজন্যে আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অধিক ফলেন জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার আত্রাই এলাকার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। ফলে আমরা আশা করছি এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর