ঢাকা ০১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খলনায়ক পালিয়েছে, মহানায়ক মাঠে আছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ৮ বার

ক্ষমতার চেয়ারে বসে যিনি ভাবতেন, এই দেশটা বুঝি পৈতৃক সম্পত্তি—আজ তাকেই পালাতে হচ্ছে মাথা নিচু করে।

আর যিনি মাথা উঁচু করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, আজও তিনি বুক চিতিয়ে আছেন জনগণের মাঝে।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ১৯৯৬ সাল থেকে উল্টো স্রোতের যাত্রী। বারবার ভোটের মাধ্যমে আব্দুল হামিদকে পরাজিত করেও কুঠ কৌশলের কাছে হেরেছেন ,জীবন বাজি রেখে সাজানো রাষ্ট্র দ্রোহ মামলা মাথায় নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র আর প্রতিহিংসার মুখে থেকেও জনগণের সেবা করে গেছেন নীরবে, নির্ভয়ে।

১৬ বছর নিজের এলাকায় যেতে পারেননি। মা-বাবার কবর জিয়ারত করাও ছিল নিষিদ্ধ!
আর যখন-ই এলাকায় গেছেন, তখনই প্রাণনাশের মঞ্চ সাজানো হয়েছে তাঁর জন্য। পরিকল্পিত হামলা, ভয়ভীতি, রাস্তা আটকে রাখা—সবই ছিল প্রতিহিংসার প্রকাশ।

এই ষড়যন্ত্রের আড়ালে ছিলেন একজন—সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
এক সময় যিনি হাওরবাসীর ওপর রাজত্ব করেছেন, ক্ষমতার নেশায় যিনি অন্যায়কে ন্যায়ের রঙে সাজিয়েছেন। আব্দুল হামিদ সাহেবের সকল আত্মীয়-স্বজন আজ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। এলাকা উন্নয়নের নামে শত শত কোটি টাকা বাজেট নিয়ে দুর্নীতির মহোৎসব করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত উনার নিকটতম আত্মীয়-স্বজন তারা পরিচালিত হতো।

কিন্তু উনার সময় বদলেছে, ভাগ্যও মুখ ফিরিয়েছে।

আজ সেই ‘অপরাজনীতির খলনায়ক’ সারা বাংলাদেশে পরিচিত একজন কলঙ্কিত ব্যক্তি হিসেবে,
যিনি রাতের অন্ধকারে পলায়ন করে দেশ ছেড়েছেন।
মানুষ এখন শুধু মুখ ফিরিয়ে নেয় না, তাঁর নাম উচ্চারণেও বিতৃষ্ণা প্রকাশ করে। ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত একজন ব্যর্থ চরিত্র। আজ সারা বাংলাদেশের সকল মিডিয়াতে সকলের মুখে একটাই উচ্চারণ কি করে পালালো , কি করে দেশ ছেড়ে চলে গেল ?

অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এখনো আছেন—জনতার ভালোবাসায়, মানুষের আশায়।
ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে জনগণ ফজলুর রহমান সাথে ছিলেন , আছেন, এবং থাকবেন ইনশাআল্লাহ ,আজও কেউ নেই, যিনি তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার পাশে দাঁড়াতে পারেন। ওনার চোখের জল আর জনগণের প্রতি ভালবাসা দিয়ে আগলে রেখেছে এলাকাবাসীকে।

ক্ষমতার গদি হয়তো চলে যায়, কিন্তু মানুষের হৃদয়—তা একবার জয় করলে চিরকাল থাকে।

আর সেই ভালোবাসার প্রতীক হয়ে আছেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান সাহেব ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

খলনায়ক পালিয়েছে, মহানায়ক মাঠে আছেন

আপডেট টাইম : ০২:২৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

ক্ষমতার চেয়ারে বসে যিনি ভাবতেন, এই দেশটা বুঝি পৈতৃক সম্পত্তি—আজ তাকেই পালাতে হচ্ছে মাথা নিচু করে।

আর যিনি মাথা উঁচু করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, আজও তিনি বুক চিতিয়ে আছেন জনগণের মাঝে।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ১৯৯৬ সাল থেকে উল্টো স্রোতের যাত্রী। বারবার ভোটের মাধ্যমে আব্দুল হামিদকে পরাজিত করেও কুঠ কৌশলের কাছে হেরেছেন ,জীবন বাজি রেখে সাজানো রাষ্ট্র দ্রোহ মামলা মাথায় নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র আর প্রতিহিংসার মুখে থেকেও জনগণের সেবা করে গেছেন নীরবে, নির্ভয়ে।

১৬ বছর নিজের এলাকায় যেতে পারেননি। মা-বাবার কবর জিয়ারত করাও ছিল নিষিদ্ধ!
আর যখন-ই এলাকায় গেছেন, তখনই প্রাণনাশের মঞ্চ সাজানো হয়েছে তাঁর জন্য। পরিকল্পিত হামলা, ভয়ভীতি, রাস্তা আটকে রাখা—সবই ছিল প্রতিহিংসার প্রকাশ।

এই ষড়যন্ত্রের আড়ালে ছিলেন একজন—সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
এক সময় যিনি হাওরবাসীর ওপর রাজত্ব করেছেন, ক্ষমতার নেশায় যিনি অন্যায়কে ন্যায়ের রঙে সাজিয়েছেন। আব্দুল হামিদ সাহেবের সকল আত্মীয়-স্বজন আজ শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। এলাকা উন্নয়নের নামে শত শত কোটি টাকা বাজেট নিয়ে দুর্নীতির মহোৎসব করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ পর্যন্ত উনার নিকটতম আত্মীয়-স্বজন তারা পরিচালিত হতো।

কিন্তু উনার সময় বদলেছে, ভাগ্যও মুখ ফিরিয়েছে।

আজ সেই ‘অপরাজনীতির খলনায়ক’ সারা বাংলাদেশে পরিচিত একজন কলঙ্কিত ব্যক্তি হিসেবে,
যিনি রাতের অন্ধকারে পলায়ন করে দেশ ছেড়েছেন।
মানুষ এখন শুধু মুখ ফিরিয়ে নেয় না, তাঁর নাম উচ্চারণেও বিতৃষ্ণা প্রকাশ করে। ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত একজন ব্যর্থ চরিত্র। আজ সারা বাংলাদেশের সকল মিডিয়াতে সকলের মুখে একটাই উচ্চারণ কি করে পালালো , কি করে দেশ ছেড়ে চলে গেল ?

অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এখনো আছেন—জনতার ভালোবাসায়, মানুষের আশায়।
ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে জনগণ ফজলুর রহমান সাথে ছিলেন , আছেন, এবং থাকবেন ইনশাআল্লাহ ,আজও কেউ নেই, যিনি তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার পাশে দাঁড়াতে পারেন। ওনার চোখের জল আর জনগণের প্রতি ভালবাসা দিয়ে আগলে রেখেছে এলাকাবাসীকে।

ক্ষমতার গদি হয়তো চলে যায়, কিন্তু মানুষের হৃদয়—তা একবার জয় করলে চিরকাল থাকে।

আর সেই ভালোবাসার প্রতীক হয়ে আছেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান সাহেব ।