ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আল-জাজিরার বিশ্লেষণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত ইসরায়েল, কী বার্তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র আগুনে পুড়ে ছাই কৃষকের ৪ গরু আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন আরএফকে সেন্টারের প্রধান কেরি কেনেডি সারজিস আলম ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হোক সিরাজগঞ্জে এবার কচু চাষে বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি এই পরিবর্তন শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য’ জানালেন লুবাবা দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি আজ আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র আজ দুই ধাপে আমিরাত যাবে বাংলাদেশ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর বাড়ি-জমি জব্দের আদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • ৯ বার

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের রাজধানীতে থাকা বাড়ি, জমি, প্লট ও ফ্ল্যাট জব্দ এবং ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৬ টাকা থাকা ছয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

লুৎফুল তাহমিনা খানের জব্দের আদেশ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও জেলায় মনিপুরি পাড়ায় ৫ দশমিক ৫৭ কাঠা প্লটের ওপর ৩ হাজার ৪০০ বর্গফুটের চারতলা ভবন। একই এলাকায় ৫ দশমিক ৭৬ শতকু জায়গার আলাদা দলীলের ২টি প্লট ও দুই ইউনিট বিশিষ্ট পুরাতন ভবন, একই এলাকায় এক দশমিক ৩৪ শতক জমি, পল্লবী এলাকায় ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এসব সম্পদের মূল্য ৬ কোটি এক লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুদক আইনে অপরাধ করেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহমিনাকেঅপরাধে সহায়তা করেন। লুৎফুল তাহমিনা নিজ নামীয় এবং তার আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামীয় একাধিক ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকা টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এসব অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামিরা এ মামলা সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সুবিধার্থে তার বিভিন্ন সম্পত্তির মধ্যে আপাতত এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক, অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আল-জাজিরার বিশ্লেষণ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে উপেক্ষিত ইসরায়েল, কী বার্তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রীর বাড়ি-জমি জব্দের আদেশ

আপডেট টাইম : ০৭:১৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খানের রাজধানীতে থাকা বাড়ি, জমি, প্লট ও ফ্ল্যাট জব্দ এবং ৭ কোটি ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৬ টাকা থাকা ছয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

লুৎফুল তাহমিনা খানের জব্দের আদেশ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁও জেলায় মনিপুরি পাড়ায় ৫ দশমিক ৫৭ কাঠা প্লটের ওপর ৩ হাজার ৪০০ বর্গফুটের চারতলা ভবন। একই এলাকায় ৫ দশমিক ৭৬ শতকু জায়গার আলাদা দলীলের ২টি প্লট ও দুই ইউনিট বিশিষ্ট পুরাতন ভবন, একই এলাকায় এক দশমিক ৩৪ শতক জমি, পল্লবী এলাকায় ১৮৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এসব সম্পদের মূল্য ৬ কোটি এক লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।

দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, লুৎফুল তাহমিনা খান ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুদক আইনে অপরাধ করেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লুৎফুল তাহমিনাকেঅপরাধে সহায়তা করেন। লুৎফুল তাহমিনা নিজ নামীয় এবং তার আংশিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামীয় একাধিক ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত মোট ৪৩ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪৫ টাকা টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এসব অর্থের স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামিরা এ মামলা সংশ্লিষ্ট অপরাধলব্ধ সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে মামলার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তির সুবিধার্থে তার বিভিন্ন সম্পত্তির মধ্যে আপাতত এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোক, অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।