ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইলে অন্য মেয়ের ছবি, কাউন্সিলরের স্ত্রী টুম্পাকে হত্যার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ৯১৫ বার

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার স্ত্রী নুশরাত জাহান টুম্পাকে (২৫) নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত নুশরাত জাহান টুম্পা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কোনাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে।

কাউন্সিলর সোলায়মান তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার উত্তরার ৭নং সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন। সোলায়মান মিয়া সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

নিহত গৃহবধূ টুম্পার বাবা মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ১২ বছর আগে কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকার হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ে টুম্পার বিয়ে হয়।

তিনি জানান, বিয়ের ৫ বছর পর থেকে বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে নির্যাতন করতো সোলায়মান।

সোলায়মান মিয়ার মাদকের নেশা ও নারী সংক্রান্ত ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো।

নজরুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেলে সোলায়মান, টুম্পা, টুম্পার ভাই সাঈদ ও তার স্ত্রীসহ বসুন্ধরা এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে অন্য জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার সময় গাড়িতে স্বামী সোলায়মানের মোবাইলে অন্য একটি মেয়ের ছবি দেখতে পেয়ে তার সঙ্গে টুম্পার ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে রাতে সোলায়মান ও টুম্পাকে তাদের বাসায় নামিয়ে ভাই সাইদ তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। এসময় তাদের সন্তান নাফি (৮) উত্তরাতে তার নানা নজরুল ইসলামের বাসায় ছিল।

‘পরে রাতের কোনো এক সময় টুম্পাকে নির্যাতন করে হত্যার পর সোলায়মান বাসার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে কাজের বুয়া বাসার দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে টুম্পার মাকে ফোন করে’।

খবর পেয়ে তারা ওই বাসায় এসে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে খাটের ওপর টুম্পার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সন্ধ্যায় উত্তরা থানার পুলিশ টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন।
ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউন্সিলর সোলায়মান পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহেদ পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মোবাইলে অন্য মেয়ের ছবি, কাউন্সিলরের স্ত্রী টুম্পাকে হত্যার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সোলায়মান মিয়ার স্ত্রী নুশরাত জাহান টুম্পাকে (২৫) নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহত নুশরাত জাহান টুম্পা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কোনাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে।

কাউন্সিলর সোলায়মান তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকার উত্তরার ৭নং সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন। সোলায়মান মিয়া সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

নিহত গৃহবধূ টুম্পার বাবা মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ১২ বছর আগে কাশিমপুরের ভবানীপুর এলাকার হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে সোলায়মান মিয়ার সঙ্গে তার মেয়ে টুম্পার বিয়ে হয়।

তিনি জানান, বিয়ের ৫ বছর পর থেকে বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে নির্যাতন করতো সোলায়মান।

সোলায়মান মিয়ার মাদকের নেশা ও নারী সংক্রান্ত ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো।

নজরুল ইসলাম জানান, রোববার বিকেলে সোলায়মান, টুম্পা, টুম্পার ভাই সাঈদ ও তার স্ত্রীসহ বসুন্ধরা এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে অন্য জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার সময় গাড়িতে স্বামী সোলায়মানের মোবাইলে অন্য একটি মেয়ের ছবি দেখতে পেয়ে তার সঙ্গে টুম্পার ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হয়।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে রাতে সোলায়মান ও টুম্পাকে তাদের বাসায় নামিয়ে ভাই সাইদ তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায়। এসময় তাদের সন্তান নাফি (৮) উত্তরাতে তার নানা নজরুল ইসলামের বাসায় ছিল।

‘পরে রাতের কোনো এক সময় টুম্পাকে নির্যাতন করে হত্যার পর সোলায়মান বাসার বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে কাজের বুয়া বাসার দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে টুম্পার মাকে ফোন করে’।

খবর পেয়ে তারা ওই বাসায় এসে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে খাটের ওপর টুম্পার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টুম্পাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সন্ধ্যায় উত্তরা থানার পুলিশ টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন।
ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউন্সিলর সোলায়মান পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহেদ পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে।