ভারত সিরিজে সবশেষ বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন সাকিব আল হাসান। সিরিজে কানপুর টেস্ট চলাকালেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেলার ঘোষণা দিলেও টেস্টে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট দিয়ে। যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
দুই ফরম্যাটকে বিদায় বললেও ওয়ানডেকে এখনো বিদায় জানাননি সাকিব। তবে আফগানিস্তান সিরিজের ওয়ানডে দলে নিজ ইচ্ছাতেই থাকেননি সাকিব। তাতে তার এই সংস্করণের ভবিষ্যৎও শঙ্কায় পড়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলে অবসরের ইচ্ছা ছিল সাকিবের। তবে ক্রমাগত এভাবে খেলার বাইরে থাকায় ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তাতে সেই টুর্নামেন্ট তিনি কীভাবে খেলবেন সেটি নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। এই সংস্করণে সবশেষ তিনি খেলেছেন গত বছরের বিশ্বকাপে, শ্রীলংকার বিপক্ষে।
সাকিবের ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির নারী উইংয়ের প্রধান হাবিবুল বাশার বলেন, ‘এটা আলোচনার বিষয়। এটা আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখব সামনে কি হয়। এই মুহূর্তে যারা দলে আছে তাদের নিয়ে চিন্তা করা উচিত।’
বাশারের ইঙ্গিতে এটা স্পষ্ট সাকিবকে ছাড়াই এই মুহূর্তে দলের কথা ভাবছে বিসিবি, ‘আমরা যদি অন্য কেউ আসলে ভালো করব, সে না আসলে খারাপ করব- এটা আমাদের মাথা থেকে দূর করে দেওয়া উচিত। আমাদের যা আছে তা নিয়েই পরিকল্পনা করা উচিত।’
ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যে কঠিন প্রতিপক্ষ সেটা অনেকবারই দেখিয়ে এসেছে টাইগাররা। তবে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দেয় টাইগাররা। দুই টেস্টের কোনো ম্যাচেই নূন্যতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বিষয়টি নিয়ে বাশার বলেন, ‘এই সিরিজটা আমাকে খুব অবাক করেছে। আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওদের কন্ডিশনে খুব ভালো করেছিলাম। ভারত সফর থেকে আমাদের আকস্মিক বিপর্যয় শুরু হয়েছে। ভারত শক্তিশালী দল, সেখানে সবাই সংগ্রাম করে। আশা করেছিলাম দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো করব। আমি তো আশা করেছিলাম সিরিজ জিতব।’