একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মাসুদকে দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা রবিন মণ্ডল।
তবে মাসুদ আলী খানের দাফন কোথায় ও কখন হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি রবিন। তিনি জানিয়েছেন, তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দাফন করা হতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন মাসুদ আলী খান। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসাতেই ছিলেন অভিনেতা। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসাও চলছিল, কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল।
মাসুদ আলী খান তার ক্যারিয়ার মঞ্চ নাটক দিয়ে শুরু করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত কয়েকটি সিনেমা-‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।