ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা-মেঘনায় মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩ বার

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।

এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। কারণ, নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সাগর থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসে। এ সময়টাতে যাতে করে জেলেরা নদীতে নামতে না পারেন সে জন্য উপকূলীয় জেলেপাড়াগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও আড়তগুলোতে টাঙানো হয়েছে ব্যানার।

আইন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

চাঁদপুরের নদীকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার দিদার বলেন, এবার ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আশা করছি, বিগত বছরের ন্যায় এবারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, এ বছর ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু জেলে নয়, কোনো সাধারণ ক্রেতার হাতে ইলিশ পাওয়া গেলে, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশের পাশাপাশি এবার সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পদ্মা-মেঘনায় মাছ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

আপডেট টাইম : ১০:২১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২ থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত।

এই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। কারণ, নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সাগর থেকে ইলিশ মিঠাপানিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসে। এ সময়টাতে যাতে করে জেলেরা নদীতে নামতে না পারেন সে জন্য উপকূলীয় জেলেপাড়াগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও আড়তগুলোতে টাঙানো হয়েছে ব্যানার।

আইন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে দায়ী ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

চাঁদপুরের নদীকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার দিদার বলেন, এবার ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আশা করছি, বিগত বছরের ন্যায় এবারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, এ বছর ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে পালিত হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু জেলে নয়, কোনো সাধারণ ক্রেতার হাতে ইলিশ পাওয়া গেলে, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশের পাশাপাশি এবার সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।