নতুন পররাষ্ট্র সচিবের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখছি যে- নানা কায়দায় সরকারে ঘাপটি মারা স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসরদের পুনর্বাসন করছে। কালকেও বলেছি, আজকেও বলি, একজন রাষ্ট্রদূত কাতারে ছিলেন, কাতারে কারো (প্রবাসী) যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হতো, সেগুলোকে তিনি নবায়ন করতেন না।
তিনি আরও বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) খবর নিতেন ওই সব লোক কোন দল করে, কাদের সমর্থক? কারণ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ প্রবাসী বিএনপির সমর্থক, তাদের তিনি (রাষ্ট্রদূত) নানাভাবে হয়রানি করেছেন, ভিসা নবায়ন করেননি। সেই লোককে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে বলে শুনতে পাচ্ছি।
সোমবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাদেরকে পুনর্বাসন করছেন? যারা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাকতা করেছে, যারা শহিদের লাশকে আজকে অপবিত্র করছে, শহিদের আত্মদান ও রক্তকে যারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাদের?
রিজভী বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে আমরা শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি- তাকে তো এই বিষয়গুলো দেখতে হবে। তার প্রতি জনগণের যে আস্থা, সেই আস্থা যাতে ফলপ্রসূ হয়, তাকে তো সেটা দেখতে হবে। কারা কাতারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র সচিব বানাচ্ছেন?
অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের তাগাদা দিয়ে তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সমস্ত আইন-কানুন দরকার, সেগুলো এখনো করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ আরও যেসব সংস্কার কাজ আছে, সেগুলো এখনো করা হয়নি; তার আগে যদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে একজন বিতর্কিত এবং শেখ হাসিনার একজন সহযোগীকে বসানো হয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ওইরকম বিতর্কিত ব্যক্তিদের বসানো হয়- তাহলে এই দেশ, এই দেশের জনগণ এবং বিপ্লবে দেড় হাজারেরও বেশি শহিদদের অবমাননা করা হবে।
এ সময় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।