ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাকাতের টাকা মাহফিল বা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে দেওয়া যাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৩ বার

প্রশ্ন: জাকাতের টাকা মাহফিলে বা মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের ছাত্রদের দেওয়া যাবে কি?

উত্তর: জাকাতের টাকা মাহফিলে দেওয়া যাবে না। যেসব মাদ্রাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং অথবা এতিমখানা আছে সেসব মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিংয়ে ও এতিমখানায় জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে। তবে সেখানেও প্রকৃত হকদার জাকাত পাচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

কোরআন মজিদে জাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট আটটি খাত উল্লেখ রয়েছে। সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফফারা ও মান্নত ব্যয়ের খাতও এগুলো।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মূলত সদকা হলো ফকির, মিসকিন, জাকাতকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তওবা, আয়াত: ৬০)

জাকাত আদায় হওয়ার জন্য শর্ত হল, উপযুক্ত ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দেওয়া। যাতে সে নিজের খুশি মতো তার প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। এরূপ না করে যদি জাকাতদাতা নিজের খুশি মতো দরিদ্র লোকটির কোনো প্রয়োজনে টাকাটি খরচ করে যেমন, তার ঘর সংস্কার করে দিল, টয়লেট স্থাপন করে দিল কিংবা পানি বা বিদ্যুতের ব্যবস্থা করল তাহলে জাকাত আদায় হবে না। (রদ্দুল মুহতার ২/২৫৭)

আল্লাহ তায়ালা জাকাতের খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই জাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ইসলামের জন্য কোনো ভালো কাজ বা কেউ শুধু বন্যাদুর্গত হলেই সেটি জাকাতের খাত গণ্য হবে না। যাকে বা যাদেরকে জাকাত দেওয়া হচ্ছে সেটি আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট খাতের অন্তর্ভুক্ত কি না যাচাই করে নিতে হবে। অন্যথায় জাকাত আদায় হবে না

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জাকাতের টাকা মাহফিল বা লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে দেওয়া যাবে

আপডেট টাইম : ০৬:৫২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

প্রশ্ন: জাকাতের টাকা মাহফিলে বা মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের ছাত্রদের দেওয়া যাবে কি?

উত্তর: জাকাতের টাকা মাহফিলে দেওয়া যাবে না। যেসব মাদ্রাসায় লিল্লাহ বোর্ডিং অথবা এতিমখানা আছে সেসব মাদ্রাসার লিল্লাহ বোডিংয়ে ও এতিমখানায় জাকাতের টাকা দেওয়া যাবে। তবে সেখানেও প্রকৃত হকদার জাকাত পাচ্ছে কি না সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।

কোরআন মজিদে জাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট আটটি খাত উল্লেখ রয়েছে। সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফফারা ও মান্নত ব্যয়ের খাতও এগুলো।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মূলত সদকা হলো ফকির, মিসকিন, জাকাতকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথসন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তওবা, আয়াত: ৬০)

জাকাত আদায় হওয়ার জন্য শর্ত হল, উপযুক্ত ব্যক্তিকে মালিক বানিয়ে দেওয়া। যাতে সে নিজের খুশি মতো তার প্রয়োজন পূরণ করতে পারে। এরূপ না করে যদি জাকাতদাতা নিজের খুশি মতো দরিদ্র লোকটির কোনো প্রয়োজনে টাকাটি খরচ করে যেমন, তার ঘর সংস্কার করে দিল, টয়লেট স্থাপন করে দিল কিংবা পানি বা বিদ্যুতের ব্যবস্থা করল তাহলে জাকাত আদায় হবে না। (রদ্দুল মুহতার ২/২৫৭)

আল্লাহ তায়ালা জাকাতের খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তাই জাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ইসলামের জন্য কোনো ভালো কাজ বা কেউ শুধু বন্যাদুর্গত হলেই সেটি জাকাতের খাত গণ্য হবে না। যাকে বা যাদেরকে জাকাত দেওয়া হচ্ছে সেটি আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট খাতের অন্তর্ভুক্ত কি না যাচাই করে নিতে হবে। অন্যথায় জাকাত আদায় হবে না