সুন্দর চরিত্র মহান আল্লাহ তাআলার সর্বশ্রেষ্ঠ দান, সবচেয়ে মূল্যবান উপহার। মানবজীবনে সুন্দর চরিত্রের অতি গুরুত্ব রয়েছে। শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সুন্দর চরিত্রের গুরুত্ব অনেক। তাই ইসলাম তার অনুসারীদের সুন্দর চরিত্র গঠন করতে আদেশ ও উদ্বুদ্ধ করে। সুন্দর চরিত্র ও সদগুণাবলির শিক্ষা ইসলামের মৌলিক শিক্ষাগুলোর অন্তর্ভুক্ত। ইসলাম মানুষকে তার জীবনের সব ক্ষেত্রে সচ্চরিত্র এবং সৎস্বভাব বজায় রাখার উপদেশ প্রদান করে।
ইসলামের প্রতি দাওয়াত প্রদান, শিক্ষাদান, প্রশিক্ষণ, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনের সব বিষয়ে সচ্চরিত্র বজায় রাখা অপরিহার্য। মানুষের চারিত্রিক ও আত্মিক সংশোধনের মহৎ উদ্দেশ্যেই রাসুল (সা.)-কে নবী করে প্রেরণ করা হয়েছে। সচ্চরিত্রের মাধ্যমে ঈমানের পূর্ণতা আসে। উত্তম চরিত্র মানুষকে জান্নাতে পৌঁছে দেয়। সুন্দর চরিত্রবান লোক কিয়ামতের দিন নবীজির সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হবেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল বলেন, ‘সর্বোত্তম স্বভাব-চরিত্রের পূর্ণতা দান করার জন্যই আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (আবু দাউদ)
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘তুমি যেখানেই থাকো আল্লাহকে ভয় করো, পাপ করলে সাথে সাথে পুণ্যও করো; যাতে পাপমোচন হয়ে যায় এবং মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করো।’ (তিরমিজি) অন্য হাদিসে ওসামা বিন শারিক থেকে বর্ণিত, লোকেরা রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), মানুষকে দেওয়া দানসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দান কী?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘সুন্দর চরিত্র’। (মুসনাদে আহমদ)
আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কোন আমল জান্নাতে প্রবেশের জন্য বেশি সহায়ক হবে?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম চরিত্র।’ (সুনানে তিরমিজি)