ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘তিনি কি ভারতীয়, নাকি কৃষ্ণাঙ্গ?’ ট্রাম্পের প্রশ্ন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৮ বার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুলভাবে দাবি করেছেন যে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস অতীতে নিজের কৃষ্ণাঙ্গ বংশ পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করেছেন৷ কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের বাৎসরিক সম্মেলনে বুধবার এই দাবি করেন তিনি৷

তিনি বরাবরই ভারতীয় বংশোদ্ভূত, এবং তিনি বরাবরই শুধু ভারতীয় ঐতিহ্য প্রচার করেছেন৷ বেশ কয়েকবছর আগে অবধি, যখন তিনি কৃষ্ণাঙ্গে পরিণত হন, আমি জানতাম না যে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ, এবং এখন তিনি নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচিত করতে চান, সম্মেলনে হাজারের মতো মানুষের সামনে বলেন ট্রাম্প৷ সুতরাং আমি জানি না, তিনি ভারতীয়, নাকি কৃষ্ণাঙ্গ? যোগ করেন ট্রাম্প৷

তিনি বলেন, কিন্তু আপনি জানেন, আমি যে কোনোটাই সম্মান করি৷ কিন্তু তিনি অবশ্য তেমন নন৷ কারণ, তিনি বরাবরই ভারতীয় ছিলেন৷ এবং তারপর হঠাৎ করে মোড় নেন এবং তিনি চেয়েছেন এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন৷ হ্যারিসের ভারতীয় এবং জামাইকার পারিবারিক পরিচয় রয়েছে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন৷ তিনি হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় আমেরিকান ব্যক্তি যিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এক প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিস জানান যে, এ ধরনের কথা সাবেক প্রেসিডেন্টের চার বছরের শাসনামল কেমন ছিল তা আবারও জানান দিলো৷ হিউস্টনে আফ্রিকান অ্যামেরিকান শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সিগমা গামা রোর সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা অতীতের মতো একই ধরনের বিভাজন এবং অসম্মানের প্রদর্শনী৷ আমেরিকার মানুষ এরচেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে৷

হ্যারিসের বংশ পরিচয় সংক্রান্ত ট্রাম্পের বক্তব্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে৷ রিপাবলিকান দলের কৌশলবিদ হুইট এয়ারস মনে করেন, হ্যারিসের বর্ণ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ট্রাম্পের বিচক্ষণ পদক্ষেপ হয়নি৷

তিনি বলেন, তার পরিচয় নিয়ে কথা বলার চেয়ে অনেক নীতিগত ইস্যু আছে যা নিয়ে কথা বলা যায়৷ ২০২০ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার কোটি মানুষ নিজেদেরকে বহুজাতিক হিসেবে পরিচয় দেন৷ ২০১০ সালে সংখ্যাটি ছিল নব্বই লাখের মতো৷

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

‘তিনি কি ভারতীয়, নাকি কৃষ্ণাঙ্গ?’ ট্রাম্পের প্রশ্ন

আপডেট টাইম : ০৬:১৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুলভাবে দাবি করেছেন যে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস অতীতে নিজের কৃষ্ণাঙ্গ বংশ পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করেছেন৷ কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের বাৎসরিক সম্মেলনে বুধবার এই দাবি করেন তিনি৷

তিনি বরাবরই ভারতীয় বংশোদ্ভূত, এবং তিনি বরাবরই শুধু ভারতীয় ঐতিহ্য প্রচার করেছেন৷ বেশ কয়েকবছর আগে অবধি, যখন তিনি কৃষ্ণাঙ্গে পরিণত হন, আমি জানতাম না যে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ, এবং এখন তিনি নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচিত করতে চান, সম্মেলনে হাজারের মতো মানুষের সামনে বলেন ট্রাম্প৷ সুতরাং আমি জানি না, তিনি ভারতীয়, নাকি কৃষ্ণাঙ্গ? যোগ করেন ট্রাম্প৷

তিনি বলেন, কিন্তু আপনি জানেন, আমি যে কোনোটাই সম্মান করি৷ কিন্তু তিনি অবশ্য তেমন নন৷ কারণ, তিনি বরাবরই ভারতীয় ছিলেন৷ এবং তারপর হঠাৎ করে মোড় নেন এবং তিনি চেয়েছেন এবং একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন৷ হ্যারিসের ভারতীয় এবং জামাইকার পারিবারিক পরিচয় রয়েছে এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন৷ তিনি হচ্ছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশীয় আমেরিকান ব্যক্তি যিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷

ট্রাম্পের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এক প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিস জানান যে, এ ধরনের কথা সাবেক প্রেসিডেন্টের চার বছরের শাসনামল কেমন ছিল তা আবারও জানান দিলো৷ হিউস্টনে আফ্রিকান অ্যামেরিকান শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সিগমা গামা রোর সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা অতীতের মতো একই ধরনের বিভাজন এবং অসম্মানের প্রদর্শনী৷ আমেরিকার মানুষ এরচেয়ে ভালো কিছু প্রত্যাশা করে৷

হ্যারিসের বংশ পরিচয় সংক্রান্ত ট্রাম্পের বক্তব্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে৷ রিপাবলিকান দলের কৌশলবিদ হুইট এয়ারস মনে করেন, হ্যারিসের বর্ণ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ট্রাম্পের বিচক্ষণ পদক্ষেপ হয়নি৷

তিনি বলেন, তার পরিচয় নিয়ে কথা বলার চেয়ে অনেক নীতিগত ইস্যু আছে যা নিয়ে কথা বলা যায়৷ ২০২০ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার কোটি মানুষ নিজেদেরকে বহুজাতিক হিসেবে পরিচয় দেন৷ ২০১০ সালে সংখ্যাটি ছিল নব্বই লাখের মতো৷