লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৪ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। কাতার ভিত্তিক গণমধ্যম আল-জাজিরায় এ খবর জানানো হয়।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ইসরায়েলি হামলায় দুই শিশুসহ তিনজন নিহত ও ৭৪ জন আহত হয়েছে। তার মধ্যে একজন মহিলা, একজন মেয়ে ও একজন ছেলে রয়েছে। এছাড়া ধ্বংসস্তুপের নীচে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ওই এলাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর ধোঁয়া দেখা যায়।
হিজবুল্লাহ সূত্রের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, হিজবুল্লার সিনিয়র কমান্ডার মুহসিন শোকরকে হত্যার উদ্দেশ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি এ হামলা থেকে বেঁচে গেছেন বলে দাবি করছে হিজবুল্লাহ। যদিও ওই কমান্ডারের অবস্থান এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
তিন দিন আগে ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির মাজদাল শামস শহরে রকেট হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি শিশু। এর প্রতিক্রিয়া জানাতে লেবাননকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যদিও হিজবুল্লাহ ওই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল।
লেবাননে হামলার বিষয় স্বীকার করেছে ইসরায়েল। এঘটনায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশটির সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আজ রাতে আমরা দেখিয়েছি যে আমাদের জনগণের রক্তের মূল্য আছে। একই সঙ্গে আমাদের বাহিনী প্রমাণ করেছে তাদের নাগালের বাইরে কোন জায়গা নেই।’
লেবাননের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এলাকা হারেত হ্যারিকে হিজবুল্লার সুরা কাউন্সিলকে লক্ষ্য করেই এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, হিজবুল্লার কমান্ডারকে লক্ষ্য করে চালানো বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের দায় তাকেই নিতে হবে।