ব্রিটেনের পার্ক ও বনাঞ্চলগুলোতে তাদের গান গাইতে দেখা যায়। বুকে সোনালি পশমের অনিন্দ্য সুন্দর এই গায়ক পাখিটির নাম রবিন।
ব্রিটেনের মানুষের অতি প্রিয় এ পাখিটির পরিচয় আরও পাকাপোক্ত হতে চলেছে। প্রথমবারের মতো ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে যাচ্ছে দেশটির জাতীয় পাখি। আর জাতীয় পাখি নির্বাচনের এ দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে রবিন।
আকৃতিতে রবিন বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের মতো হলেও ফারাক শুধু সোনালি রঙে।
স্প্রিংওয়াচ ও কান্ট্রিফাইল নামে দু’টি টেলিভিশন অনুষ্ঠান আয়োজিত এ ভোটে অংশ নিয়েছেন ব্রিটেনের দুই লাখের বেশি প্রকৃতিপ্রেমী নাগরিক। যে নির্বাচনে মোট ভোটের প্রায় অর্ধেক পড়েছে সোনালি কণ্ঠের রবিনের পক্ষে।
জাতীয় পাখি নির্বাচনের এই বিশেষ গণভোটে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে লক্ষ্মীপ্যাঁচা, তৃতীয় স্থানে কোকিল।
উদ্যোক্তাদের একজন টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপক মি. লিন্ডো জানান, যুক্তরাষ্ট্র ১৭৮২ সালে তার জাতীয় পাখি হিসেবে ঈগলকে নির্ধারণ করেছিল। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই জাতীয় পাখি নির্ধারিত থাকলেও ব্রিটেনের কোনো জাতীয় পাখি নেই। যা আমাদের জন্য বিব্রতকর।
রবিন ব্রিটেনের খুব জনপ্রিয় পাখি। মানুষ পার্কে হাঁটতে গেলেই তাদের দেখতে ও তাদের গান শুনতে পায়। তাই রবিনকেই জাতীয় পাখির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। জানান তিনি।
প্রকৃতিপ্রেমী ও সচেতন নাগরিকদের ভোটে জিতে যাওয়া রবিনের পক্ষে সরকার মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিন্ডো জানান, ব্রিটেনের স্ট্যাম্প ও মুদ্রায় রবিনের ছবি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
এর আগে ১৯৬০ সালে রবিনকে ব্রিটেনের জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলেও তা আনুষ্ঠানিক পরিণতি পায়নি।