কলা একটি বারোমাসি ফল। খুবই সহজলভ্য এই ফলটি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সুস্বাদু পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলটি যেমন কদর রয়েছে ফল হিসেবে ঠিক তেমনি আবার সবজি হিসেবেও রয়েছে বেশ ভালো কদর।
পুষ্টিবিদরা বলেন, কলা খাওয়ার ফলে পেটের অসুখে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই ফলকে সবজি হিসেবে খাওয়ার ফলে আলসার, সংক্রমণ, ডায়রিয়াসহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক উপকার আসে।
শুধু তাই না হার্টের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকেও সুস্থ রাখতে এই ফলটিতে রয়েছে জাদুকরী উপকার।
এবার আপনারা জানতে ইচ্ছে করতেই পারেন, ঠিক কীভাবে হার্টকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে এই ফল? চলুন জেনে নেই সেই উত্তর….
হার্টের সুস্থতায় কলার গুরুত্ব
এই পরিচিত সস্তার ফলে রয়েছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। আরও নির্দিষ্ট করে বললে একটা মাঝারি আকারের কলা থেকে মোটামুটি দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ মিটিয়ে ফেলা যায়। আর সেই কারণেই নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড প্রেশার। এমনকি সুস্থ-সবল থাকে হার্ট। শুধু তাই নয়, এই ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়ামও থাকে। আর এই উপাদানও কিন্তু হার্টকে সুস্থ রাখার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার দৈনন্দিন ডায়েটে এই ফলকে রাখতে পারেন।
কলায় রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
কলায় রয়েছে উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমাহার। আর এই উপাদান শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এমনকি দেহে তৈরি হওয়া ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলসকে বাইরে বের করে দেয়। যার ফলে দূরে থাকে প্রাণঘাতী হার্টের অসুখ। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
তবে শুধু হার্টকেই যে সুস্থ রাখে তাই নয়, এছাড়াও একাধিক উপকার রয়েছে কলায়। যেমন….
সুস্থ থাকবে কিডনি
প্রস্রাব তৈরি, শরীর থেকে ক্ষতিকর সব টক্সিন বের করে দেওয়া, বিভিন্ন হরমোন উৎপাদন সহ একাধিক কাজ করে কিডনি। তাই সুস্থ-সবল জীবন পেতে চাইলে কিডনির খেয়াল রাখতেই হবে। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে কলা। কারণ এই ফলে রয়েছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এই খনিজ কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি কমায় ব্লাড প্রেশার। তবে ক্রনিক ডিজিজে ভুক্তভোগীরা আবার এই ফল খাবেন না। এই ভুলটা করলে আদতে শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই প্রবল হবে।
পেটের সমস্যা সমাধানে কলা
আমাদের মধ্যে বহুজন প্রায় দিন গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভোগেন। আর সেই কারণে তারা নিয়মিত খান অ্যান্টাসিড। তবে সত্যি বলতে, এভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টাসিড খাওয়া উচিত হবে না। এই ভুলটা করলে আদতে শরীরের বেজে যাবে বারোটা। তাই এসব ওষুধ খাওয়ার বদলে হাত ধরুন কলার। কারণ, এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। আর এই উপাদান অন্ত্রের হাল ফেরাতে পারে। যার ফলে কাছে ঘেঁষতে পারে না গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। তাই এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে রোজের ডায়েটে কলাকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!