ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা মদনে হেফাজতের সভাপতি মুফতি আনোয়ার সাধারণ সম্পাদক মুফতি শফিকুল

পেনাল্টি মিস নিয়ে যা বললেন রোনালদো

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
  • ৪৮ বার

নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি নিতে আসেন দলের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পেনাল্টিতে যার দেড়শ গোলের মাইলফলক রয়েছে। সেই সঙ্গে সবশেষ ১৩ পেনাল্টিতেই যিনি সফল। সেই তাকেই কিনা এদিন হতাশ করে দিয়েছিলেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। ঝাঁপিয়ে পড়ে রোনালদোর নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে স্লোভেনিয়াকে বাঁচিয়ে দেন তিনি।

ম্যাচটা ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে যাচ্ছে। হয়তো বিদায়ও হয়ে যেতে পারে পর্তুগালের। এটা ভেবেই অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোনালদো। কোনো কারণে ম্যাচটা হারলে যে সব দায়টা গিয়ে বর্তাবে তার কাঁধেই। রোনালদোর এমন চোখের পানি নাড়িয়ে দিয়েছিল ডিওগো কস্তাকে। রোনালদোর চোখের পানি বৃথা যেতে দেননি তিনি। ম্যাচটা টাইব্রেকারে গেলেও স্লোভেনিয়াকে করতে দেননি একটি গোলও। অবিশ্বাস্য দক্ষতায় টানা তিনটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে পর্তুগালকে ৩-০ গোলে জিতিয়ে নিয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনালে। এমন ম্যাচের পর নিজের পেনাল্টি মিস নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পর্তুগালকে।

কেননা, টাইব্রেকারে কস্তা ম্যাচ না বাঁচালে যে সব দায়টা গিয়ে ঠেকত রোনালদোর কাঁধে। পেনাল্টি মিস নিয়ে রোনালদো নিজেও হতাশ। তিনি বলেন, ‘বিষণ্ণতায় শুরু হলেও আমাদের শেষটা হয়েছে আনন্দ নিয়ে। আর এটাই ফুটবল। কিছু মুহূর্ত আসে যা অবর্ণনীয়।’

রোনালদো নিজের পেনাল্টি মিস নিয়ে বলেন, ‘একটি সরাসরি শট থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি নিজেকে পরিচালনা করতে পারিনি। ইয়ান ওবলাক ভালো সেভ করেছেন..এটা আমাকে আবার দেখতে হবে। আমার শটে ঠিক কোথায় ভুল ছিল জানি না। তবে আমি সারা বছরে একবারও মিস করিনি। অথচ যখন আমার এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, ওবলাক এটি ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

জয়ের কৃতিত্বটা পুরো দলকে দিলেও কস্তাকে আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন রোনালদো। টাইব্রেকারে ৩ টি শট ঠেকিয়ে দিয়ে পর্তুগালকে কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়ার নায়ক যে তিনিই। রোনালদো বলেন, ‘আমি মনে করি পর্তুগালের এই জয় প্রাপ্য। কারণ মাঠে আমাদের কর্তৃত্ব ছিল। স্লোভেনিয়া প্রায় পুরো খেলাটাই রক্ষণে কাটিয়েছে। যা আমাদের গোল পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। পুরো দলকে অভিনন্দন জানাতে হবে, তবে বিশেষ করে আমাদের গোলরক্ষক যিনি তিনটি খুব ভালো সেভ করেছেন, তার কথা না বললেই নয়।’

পেনাল্টি মিস করে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কিনা রোনালদোর; এমন প্রশ্নে সিআর সেভেন বলেন, ‘এটা ফুটবল, যে ব্যর্থ হয় সে-ই চেষ্টা করে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই এটা হতাশার যখন আমরা গোল করতে পারি না। কিন্তু দিনশেষে এটাই ফুটবল। তবে আমি ইতিমধ্যেই এটি (পেনাল্টি মিস) ভুলে গেছি। কারণ শেষ ফলাফলটি আমাদের পক্ষেই ছিল, আমরা জিতেছি। আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কখনও কখনও পেনাল্টি স্কোর করা কঠিন। আমি আমার ক্যারিয়ারে ২০০ এর বেশি পেনাল্টিতে গোল করেছি। ফুটবলকে কখনও কখনও ন্যায্য হতে হয় এবং আজ এটি ন্যায্য ছিল। কারণ আমি মনে করি পর্তুগাল জয়ের যোগ্য ছিল।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

পেনাল্টি মিস নিয়ে যা বললেন রোনালদো

আপডেট টাইম : ১১:৩৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ১০৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি নিতে আসেন দলের তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পেনাল্টিতে যার দেড়শ গোলের মাইলফলক রয়েছে। সেই সঙ্গে সবশেষ ১৩ পেনাল্টিতেই যিনি সফল। সেই তাকেই কিনা এদিন হতাশ করে দিয়েছিলেন স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। ঝাঁপিয়ে পড়ে রোনালদোর নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে স্লোভেনিয়াকে বাঁচিয়ে দেন তিনি।

ম্যাচটা ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে যাচ্ছে। হয়তো বিদায়ও হয়ে যেতে পারে পর্তুগালের। এটা ভেবেই অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে মাঠের এক পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রোনালদো। কোনো কারণে ম্যাচটা হারলে যে সব দায়টা গিয়ে বর্তাবে তার কাঁধেই। রোনালদোর এমন চোখের পানি নাড়িয়ে দিয়েছিল ডিওগো কস্তাকে। রোনালদোর চোখের পানি বৃথা যেতে দেননি তিনি। ম্যাচটা টাইব্রেকারে গেলেও স্লোভেনিয়াকে করতে দেননি একটি গোলও। অবিশ্বাস্য দক্ষতায় টানা তিনটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে পর্তুগালকে ৩-০ গোলে জিতিয়ে নিয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনালে। এমন ম্যাচের পর নিজের পেনাল্টি মিস নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পর্তুগালকে।

কেননা, টাইব্রেকারে কস্তা ম্যাচ না বাঁচালে যে সব দায়টা গিয়ে ঠেকত রোনালদোর কাঁধে। পেনাল্টি মিস নিয়ে রোনালদো নিজেও হতাশ। তিনি বলেন, ‘বিষণ্ণতায় শুরু হলেও আমাদের শেষটা হয়েছে আনন্দ নিয়ে। আর এটাই ফুটবল। কিছু মুহূর্ত আসে যা অবর্ণনীয়।’

রোনালদো নিজের পেনাল্টি মিস নিয়ে বলেন, ‘একটি সরাসরি শট থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি নিজেকে পরিচালনা করতে পারিনি। ইয়ান ওবলাক ভালো সেভ করেছেন..এটা আমাকে আবার দেখতে হবে। আমার শটে ঠিক কোথায় ভুল ছিল জানি না। তবে আমি সারা বছরে একবারও মিস করিনি। অথচ যখন আমার এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, ওবলাক এটি ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

জয়ের কৃতিত্বটা পুরো দলকে দিলেও কস্তাকে আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন রোনালদো। টাইব্রেকারে ৩ টি শট ঠেকিয়ে দিয়ে পর্তুগালকে কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়ার নায়ক যে তিনিই। রোনালদো বলেন, ‘আমি মনে করি পর্তুগালের এই জয় প্রাপ্য। কারণ মাঠে আমাদের কর্তৃত্ব ছিল। স্লোভেনিয়া প্রায় পুরো খেলাটাই রক্ষণে কাটিয়েছে। যা আমাদের গোল পাওয়া কঠিন করে তুলেছে। পুরো দলকে অভিনন্দন জানাতে হবে, তবে বিশেষ করে আমাদের গোলরক্ষক যিনি তিনটি খুব ভালো সেভ করেছেন, তার কথা না বললেই নয়।’

পেনাল্টি মিস করে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কিনা রোনালদোর; এমন প্রশ্নে সিআর সেভেন বলেন, ‘এটা ফুটবল, যে ব্যর্থ হয় সে-ই চেষ্টা করে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই এটা হতাশার যখন আমরা গোল করতে পারি না। কিন্তু দিনশেষে এটাই ফুটবল। তবে আমি ইতিমধ্যেই এটি (পেনাল্টি মিস) ভুলে গেছি। কারণ শেষ ফলাফলটি আমাদের পক্ষেই ছিল, আমরা জিতেছি। আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কখনও কখনও পেনাল্টি স্কোর করা কঠিন। আমি আমার ক্যারিয়ারে ২০০ এর বেশি পেনাল্টিতে গোল করেছি। ফুটবলকে কখনও কখনও ন্যায্য হতে হয় এবং আজ এটি ন্যায্য ছিল। কারণ আমি মনে করি পর্তুগাল জয়ের যোগ্য ছিল।’