ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুগন্ধি লেবু চাষে প্রথমবারেই সফল শার্শার তরুণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • ১৯ বার

যশোরের শার্শায় লেবু চাষ করে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যেক্তা জাহাঙ্গীর আলম। সাড়ে তিন বছর আগে তার সৃজিত বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ রঙের লেবু। লেবু চাষে তার এমন সাফল্য দেখে এলাকার অনেক মানুষ উৎসাহিত হয়েছেন।

পাইকাররা বাগানে এসেই কিনছেন লেবু। তাই বাজারজাত করার বাড়তি ঝামেলাও নেই এই তরুণের। প্রতি পিস লেবু তিনি ৫ টাকা করে বিক্রি করেছেন। লেবুর ভালো দাম পেয়ে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম অনেক খুশি।

প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী চাষিরা তার এ বাগান দেখে লেবু চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।

কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, লেবু চাষে খরচ কম, লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। চারা লাগানোর এক বছর পর থেকেই ফলন পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে একবার চারা রোপণের পর একাধারে অন্তত ১০-১৫ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

সারাবছরই লেবুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এ লেবু অনেক উপকারী বলে বর্তমানে বাজারে এর চাহিদা আরও বেড়েছে।

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান,গামের্ন্টস ব্যবসার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে সাড়ে তিন বছর আগে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে সাড়ে তিনশ’ চায়না-৩ সুগন্ধি (লেবু) চারা রোপণ করেন। চারা ক্রয়, গর্ত তৈরি, সার ও অন্যান্য খরচ মিলে তার প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। চারা রোপণের এক বছরের পর থেকেই তার স্বপ্নের লেবু গাছে ফল ধরা শুরু হয়।

বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় লেবু। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রতিটি গাছে ২০০-২৫০টি করে ফল ধরেছে। ইতোমধ্যে তিনি ২০ হাজার লেবু বিক্রি করেছেন। ৫ টাকা দরে ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। আরও প্রায় ৩০ হাজার লেবু বিক্রি করা যাবে।

এ বাগান থেকে এবছর ৫০-৬০ হাজার লেবু বিক্রি করেন বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা বলেন, উপজেলার গোগা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নিজ উদ্যোগে জমিতে লেবু বাগান করে সফল হযেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমরা লেবুসহ মাল্টা, আম ও অন্যান্য ফল চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। আর প্রতিটি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পাশে থেকে লেবুসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল চাষে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুগন্ধি লেবু চাষে প্রথমবারেই সফল শার্শার তরুণ

আপডেট টাইম : ১২:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

যশোরের শার্শায় লেবু চাষ করে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যেক্তা জাহাঙ্গীর আলম। সাড়ে তিন বছর আগে তার সৃজিত বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ রঙের লেবু। লেবু চাষে তার এমন সাফল্য দেখে এলাকার অনেক মানুষ উৎসাহিত হয়েছেন।

পাইকাররা বাগানে এসেই কিনছেন লেবু। তাই বাজারজাত করার বাড়তি ঝামেলাও নেই এই তরুণের। প্রতি পিস লেবু তিনি ৫ টাকা করে বিক্রি করেছেন। লেবুর ভালো দাম পেয়ে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম অনেক খুশি।

প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী চাষিরা তার এ বাগান দেখে লেবু চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।

কৃষি অফিসের সূত্র জানায়, লেবু চাষে খরচ কম, লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। চারা লাগানোর এক বছর পর থেকেই ফলন পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে একবার চারা রোপণের পর একাধারে অন্তত ১০-১৫ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

সারাবছরই লেবুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এ লেবু অনেক উপকারী বলে বর্তমানে বাজারে এর চাহিদা আরও বেড়েছে।

কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান,গামের্ন্টস ব্যবসার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে সাড়ে তিন বছর আগে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে সাড়ে তিনশ’ চায়না-৩ সুগন্ধি (লেবু) চারা রোপণ করেন। চারা ক্রয়, গর্ত তৈরি, সার ও অন্যান্য খরচ মিলে তার প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। চারা রোপণের এক বছরের পর থেকেই তার স্বপ্নের লেবু গাছে ফল ধরা শুরু হয়।

বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় লেবু। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রতিটি গাছে ২০০-২৫০টি করে ফল ধরেছে। ইতোমধ্যে তিনি ২০ হাজার লেবু বিক্রি করেছেন। ৫ টাকা দরে ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। আরও প্রায় ৩০ হাজার লেবু বিক্রি করা যাবে।

এ বাগান থেকে এবছর ৫০-৬০ হাজার লেবু বিক্রি করেন বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা বলেন, উপজেলার গোগা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নিজ উদ্যোগে জমিতে লেবু বাগান করে সফল হযেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমরা লেবুসহ মাল্টা, আম ও অন্যান্য ফল চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। আর প্রতিটি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পাশে থেকে লেবুসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল চাষে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।