রেলের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, পাওয়ার কারের ইঞ্জিন সংগ্রহ করা সংক্রান্ত ক্রয়প্রক্রিয়া বিলম্বের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক কবে রিকুইজিশন দিয়েছেন, কবে দরপত্র আহবান করা হয়েছে এবং কোথাও কোনো গাফিলতি আছে কি না, কোন কাজে কোন ধাপে বিলম্ব হয়েছে ইত্যাদি খতিয়ে দেখে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পিএসসির সভায় পাওয়ার কারের ইঞ্জিন আমদানি সংক্রান্ত টেন্ডারপ্রক্রিয়ায় বিলম্বের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ বিষয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কোনোভাবেই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না। আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।’
কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে সভার কার্যবিবরণীতে প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঞা উল্লেখ করেন, সংশোধনী উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) ভুক্ত ১১৭টি প্যাকেজের মধ্যে ৯৩টি প্যাকেজের মালপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি ২৪টি প্যাকেজের মধ্যে ১৮টি প্যাকেজের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
মেকানিক্যাল মালপত্র এবং বিভিন্ন সাইজের ‘শিট ব্লাক’ সরবরাহ না পাওয়ায় বগির পুনর্বাসন কাজে বিঘ্ন ঘটছে। ইলেকট্রিক্যাল মালপত্র বিশেষ করে ইঞ্জিন-জেনারেটর সেট ও সিলিং ফ্যান সময়মতো সরবরাহ না পাওয়ায় কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। সিলিং ফ্যানগুলো ভারতীয়। সেখানে এখন আর এগুলো তৈরি করা হয় না। অর্ডার দিয়ে আনতে হয়। অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এ মাসে সরবরাহ পাওয়া যাবে। সিলিং ফ্যান সংযোজন ছাড়া ১৪টি বগির অন্য সব কাজ শেষ হয়েছে বলে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান।
প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে কোনো ভৌত অগ্রগতি হয়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪০টি বগির কাজ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩০টির এবং চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ১৯টির কাজ শেষ হয়েছে।