ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা

প্রধানমন্ত্রীকে আমার বলতে হইলো কেন: ব্যারিস্টার সুমন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪
  • ৯ বার

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, সবাই নিজেদের নিয়ে এত ব্যস্ত যে, শ্রমিকদের আন্দোলন ও তাদের পক্ষে কেউ কথা বলে না। শুধু শ্রমিক দিবস আসলে পাঞ্জাবি পরে অনুষ্ঠানে লম্বা লম্বা বক্তব্য দেন। এরপর আর কাজ করেন না।

বুধবার দুপুরে মে দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন।

তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে ১৯ জন সংসদ সদস্য চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। চা বাগানের শ্রমিকদের কথা বলে নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী) কাছ থেকে সুবিধা নেন, এ রকম এমপি আছেন ১০ থেকে ১২ জন। চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিয়েছেন, আমার চেয়ে বড় বড় এমপি-মন্ত্রী ছিলেন এবং আছেন সিলেট ও চট্টগ্রামে। তারা একবারও কি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেন নাই, বাগানের লাখো মানুষের ভোট নিয়েছি। আমাদের বাগান-শ্রমিকরা মরে যাচ্ছে না খেয়ে। চা বাগান ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংস থেকে বাগান বাঁচান। প্রধানমন্ত্রীকে আমার বলতে হইলো কেন? এত বছর কি করলেন তারা? কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, তাদের কাজ কী? মানুষের টাকা মারা? দুর্দিনে পাশে না থাকা? বাটপারদের ঠিক করতে আমার মতো কিছু আধা পাগলা এমপি দরকার।

তিনি আরও বলেন, আমি ঈগলের এমপি, আমার সৌভাগ্য হয়নি নৌকার এমপি হওয়ার। তারপরও আমি সংসদে দাঁড়াইয়া যত দাবি এবং যত কথা বলেছি, সবগুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অ্যাকশন নিয়েছেন। এইটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। সংসদে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকন্যার দোয়া ও আশীর্বাদ পেয়েছি, কারণ সারাজীবন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ করে তাই শিখেছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুখে মুখে না, হৃদয়ে থাকতে হবে, রক্তে থাকতে হবে। সাধারণ নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কষ্ট যেখানে হয় সেখানেই দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এমপি হও আর না হও, নেতা হও আর না হও, মানুষের কষ্টে তাদের ফেলে যাওয়া যাবে না। তবেই মানুষ বলবে বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রবাহ ওই লোকটার শরীরে।

তিনি বলেন, সংসদে মাসখানেক আগে বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার বক্তব্যের এক মাসের ব্যবধানে চায়ের দাম ৪০০ টাকা করা হয়েছে। কেমনে হইল? আমি কি জাদু জানি! প্রতিবাদ করতে হবে। আমি চা শ্রমিকদের দুর্দিনে পাশে ছিলাম। এখনো আছি।  যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন পাশেই থাকব। যদি মারা যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়েদের বলে যাব, তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে থাকে।

চুনারুঘাট উপজেলার এনামুল হক মোস্তফা শহীদ অডিটোরিয়াম মাঠে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকারিয়া আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীকে আমার বলতে হইলো কেন: ব্যারিস্টার সুমন

আপডেট টাইম : ১০:০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, সবাই নিজেদের নিয়ে এত ব্যস্ত যে, শ্রমিকদের আন্দোলন ও তাদের পক্ষে কেউ কথা বলে না। শুধু শ্রমিক দিবস আসলে পাঞ্জাবি পরে অনুষ্ঠানে লম্বা লম্বা বক্তব্য দেন। এরপর আর কাজ করেন না।

বুধবার দুপুরে মে দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন।

তিনি বলেন, সিলেট বিভাগে ১৯ জন সংসদ সদস্য চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। চা বাগানের শ্রমিকদের কথা বলে নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী) কাছ থেকে সুবিধা নেন, এ রকম এমপি আছেন ১০ থেকে ১২ জন। চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট নিয়েছেন, আমার চেয়ে বড় বড় এমপি-মন্ত্রী ছিলেন এবং আছেন সিলেট ও চট্টগ্রামে। তারা একবারও কি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারেন নাই, বাগানের লাখো মানুষের ভোট নিয়েছি। আমাদের বাগান-শ্রমিকরা মরে যাচ্ছে না খেয়ে। চা বাগান ধ্বংস হচ্ছে। ধ্বংস থেকে বাগান বাঁচান। প্রধানমন্ত্রীকে আমার বলতে হইলো কেন? এত বছর কি করলেন তারা? কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, তাদের কাজ কী? মানুষের টাকা মারা? দুর্দিনে পাশে না থাকা? বাটপারদের ঠিক করতে আমার মতো কিছু আধা পাগলা এমপি দরকার।

তিনি আরও বলেন, আমি ঈগলের এমপি, আমার সৌভাগ্য হয়নি নৌকার এমপি হওয়ার। তারপরও আমি সংসদে দাঁড়াইয়া যত দাবি এবং যত কথা বলেছি, সবগুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অ্যাকশন নিয়েছেন। এইটা আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। সংসদে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকন্যার দোয়া ও আশীর্বাদ পেয়েছি, কারণ সারাজীবন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ করে তাই শিখেছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুখে মুখে না, হৃদয়ে থাকতে হবে, রক্তে থাকতে হবে। সাধারণ নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কষ্ট যেখানে হয় সেখানেই দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এমপি হও আর না হও, নেতা হও আর না হও, মানুষের কষ্টে তাদের ফেলে যাওয়া যাবে না। তবেই মানুষ বলবে বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রবাহ ওই লোকটার শরীরে।

তিনি বলেন, সংসদে মাসখানেক আগে বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার বক্তব্যের এক মাসের ব্যবধানে চায়ের দাম ৪০০ টাকা করা হয়েছে। কেমনে হইল? আমি কি জাদু জানি! প্রতিবাদ করতে হবে। আমি চা শ্রমিকদের দুর্দিনে পাশে ছিলাম। এখনো আছি।  যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন পাশেই থাকব। যদি মারা যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়েদের বলে যাব, তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে থাকে।

চুনারুঘাট উপজেলার এনামুল হক মোস্তফা শহীদ অডিটোরিয়াম মাঠে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকারিয়া আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব।