ঢাকা ০৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টির অভাবে উত্তপ্ত এপ্রিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • ৪৭ বার
এপ্রিলের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে ওঠে। মাঝে ৭ থেকে ১০ এপ্রিল তাপপ্রবাহের বিস্তৃতি অনেকটা কমে এলেও ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অস্বাভাবিক কম বৃষ্টিপাতই মূলত এই অসহনীয় গরম ও তাপপ্রবাহের জন্য দায়ী।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে সারা দেশে গড়ে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ মাসে দেশের গড় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ১৩০ মিলিমিটার। অর্থাৎ ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে দেশে। তবে মাসের বাকি দিনগুলোতে বৃষ্টি হলে এই হিসাবে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মাসের বাকি দিনগুলোতেও খুব বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তর আবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমের অস্বস্তি বাড়তে পারে

অন্যদিকে চলমান তাপপ্রবাহে ঢাকা মহানগরের জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। ২১ এপ্রিল রবিবার ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

টানা ২২ দিন ধরে তাপপ্রবাহ, অস্বাভাবিক এপ্রিলএ বছর এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই ছিল তাপপ্রবাহ। মাসের প্রথম দিনে দেশের চার বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল।

৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে কমবেশি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ৬ এপ্রিল চলতি তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করে। এদিন পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

৭ থেকে ১০ এপ্রিল অনেকটাই কমে আসে তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের বিস্তৃতি। ১১ এপ্রিল থেকে আবার তা বাড়তে শুরু করে। ২০ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি স্পর্শ করে। এদিন পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এদিন দেশে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড হয় যশোরে, ৪২.৬ ডিগ্রি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সব মিলিয়ে টানা ২২ দিন ধরে চলছে এই তাপপ্রবাহ।

তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি তাপমাত্রা হলে তখন তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।

টানা এই তাপপ্রবাহকে অস্বাভাবিক বলছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই সময় তাপমাত্রা বেশি থাকা স্বাভাবিক। দুই-তিনটি তাপপ্রবাহ থাকবে, এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু তাপপ্রবাহের স্থিতিকাল সাধারণত ছয়-সাত দিন হয়। তাপপ্রবাহগুলোর মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী হয়। এতে তাপমাত্রা কিছুদিনের জন্য কমে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ আসে। যদি কোনো কারণে এর ব্যত্যয় ঘটে—যেমন কালবৈশাখী বেশি হয়, এটা অস্বাভাবিকতা। আবার টানা তাপপ্রবাহ চললে সেটাও অস্বাভাবিকতা, যা এবার আমরা দেখছি।’

বজলুর রশিদ জানান, এ সময় বৃষ্টি হয় মূলত পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে। এ বছর এপ্রিলে পশ্চিমা লঘুচাপ কম সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ২০১৪ সাল থেকে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২।

তবে এবার তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকছে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘এবার এপ্রিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এবার বৈশাখের প্রথম দিন (১৪ এপ্রিল) থেকে দেশের কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রির নিচে ছিল না বললেই চলে। বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে ছিল।  এ সময় গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি বা এর বেশি হবে।

বড় পরিসরে বৃষ্টির আশা নেই মাসের বাকি দিনগুলোতেও

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১ মে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘এপ্রিল মাস দেশের উষ্ণতম মাস। তবে কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হলে ওই দিন বা তার পরদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি সেভাবে হয়নি, ফলে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। সামনে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। ফলে চলমান তাপপ্রবাহ সহসাই চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত আমরা দেখছি না।’

তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমেছে

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও খুলনায় ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের তুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ১.৬ ডিগ্রি। ঢাকায়ও আগের দিনের তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ০.৪ ডিগ্রি। গতকাল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭.৮ ডিগ্রি।

তাপমাত্রা কমায় কমেছে তাপপ্রবাহের তীব্রতাও। আগের দিন দুই জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলেও গতকাল তা ছিল না। গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আগের দিনের তুলনায় গতকাল সারা দেশে অঞ্চলভেদে ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। তবে এখনো অঞ্চলভেদে ২ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বৃষ্টির অভাবে উত্তপ্ত এপ্রিল

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
এপ্রিলের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। শুরুতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থাকলেও ক্রমে তা তীব্র থেকে অতি তীব্র হয়ে ওঠে। মাঝে ৭ থেকে ১০ এপ্রিল তাপপ্রবাহের বিস্তৃতি অনেকটা কমে এলেও ঈদের দিন (১১ এপ্রিল) থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অস্বাভাবিক কম বৃষ্টিপাতই মূলত এই অসহনীয় গরম ও তাপপ্রবাহের জন্য দায়ী।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম ২১ দিনে সারা দেশে গড়ে ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ মাসে দেশের গড় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ১৩০ মিলিমিটার। অর্থাৎ ২১ এপ্রিল পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৮ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে দেশে। তবে মাসের বাকি দিনগুলোতে বৃষ্টি হলে এই হিসাবে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মাসের বাকি দিনগুলোতেও খুব বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

এমন পরিস্থিতিতে গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তর আবারও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহ আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমের অস্বস্তি বাড়তে পারে

অন্যদিকে চলমান তাপপ্রবাহে ঢাকা মহানগরের জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। ২১ এপ্রিল রবিবার ঢাকা ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

টানা ২২ দিন ধরে তাপপ্রবাহ, অস্বাভাবিক এপ্রিলএ বছর এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই ছিল তাপপ্রবাহ। মাসের প্রথম দিনে দেশের চার বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ ছিল।

৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে কমবেশি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ৬ এপ্রিল চলতি তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করে। এদিন পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

৭ থেকে ১০ এপ্রিল অনেকটাই কমে আসে তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের বিস্তৃতি। ১১ এপ্রিল থেকে আবার তা বাড়তে শুরু করে। ২০ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি স্পর্শ করে। এদিন পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এদিন দেশে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও রেকর্ড হয় যশোরে, ৪২.৬ ডিগ্রি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সব মিলিয়ে টানা ২২ দিন ধরে চলছে এই তাপপ্রবাহ।

তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি তাপমাত্রা হলে তখন তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়।

টানা এই তাপপ্রবাহকে অস্বাভাবিক বলছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এই সময় তাপমাত্রা বেশি থাকা স্বাভাবিক। দুই-তিনটি তাপপ্রবাহ থাকবে, এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু তাপপ্রবাহের স্থিতিকাল সাধারণত ছয়-সাত দিন হয়। তাপপ্রবাহগুলোর মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী হয়। এতে তাপমাত্রা কিছুদিনের জন্য কমে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ আসে। যদি কোনো কারণে এর ব্যত্যয় ঘটে—যেমন কালবৈশাখী বেশি হয়, এটা অস্বাভাবিকতা। আবার টানা তাপপ্রবাহ চললে সেটাও অস্বাভাবিকতা, যা এবার আমরা দেখছি।’

বজলুর রশিদ জানান, এ সময় বৃষ্টি হয় মূলত পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে। এ বছর এপ্রিলে পশ্চিমা লঘুচাপ কম সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ২০১৪ সাল থেকে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকছে তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসের গড় স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩.২।

তবে এবার তা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকছে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘এবার এপ্রিলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এবার বৈশাখের প্রথম দিন (১৪ এপ্রিল) থেকে দেশের কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রির নিচে ছিল না বললেই চলে। বেশির ভাগ জায়গায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির ওপরে ছিল।  এ সময় গড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি বা এর বেশি হবে।

বড় পরিসরে বৃষ্টির আশা নেই মাসের বাকি দিনগুলোতেও

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১ মে দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘এপ্রিল মাস দেশের উষ্ণতম মাস। তবে কালবৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হলে ওই দিন বা তার পরদিন তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। যেহেতু দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টি সেভাবে হয়নি, ফলে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান। সামনে দেশের বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টিপাতের তেমন সম্ভাবনা নেই। ফলে চলমান তাপপ্রবাহ সহসাই চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত আমরা দেখছি না।’

তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের তীব্রতা কমেছে

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও খুলনায় ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনের তুলনায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ১.৬ ডিগ্রি। ঢাকায়ও আগের দিনের তুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ০.৪ ডিগ্রি। গতকাল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭.৮ ডিগ্রি।

তাপমাত্রা কমায় কমেছে তাপপ্রবাহের তীব্রতাও। আগের দিন দুই জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলেও গতকাল তা ছিল না। গতকাল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আগের দিনের তুলনায় গতকাল সারা দেশে অঞ্চলভেদে ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। তবে এখনো অঞ্চলভেদে ২ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি