জঙ্গিবাদ রুখতে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। দুঃখ লাগে, যখন দেখি কিছু বিপথগামী ঠান্ডা মাথায় নিরীহ মানুষ হত্যা করে। যারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে তারা ইসলাম ধর্মকে হেয় করছে। জঙ্গিবাদ রুখতে যার যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার সকালে উত্তরার আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অন্যদের কাছে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে একটা ভীতি সৃষ্টি করছে এবং ইসলামের বদনাম করছে। তারা মানুষ খুন করে কী অর্জন করছে, সেটা জানি না। কিন্তু আমরা যারা ইসলাম ধর্ম পালন করি, তাদের জন্য পৃথিবীতে বসবাস কঠিন করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে হজ পালনে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। কেউ যেন হজের নাম করে সৌদি আরবে থেকে না যায় এ বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার

মধ্যে হজ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয় এর জন্য প্রশংসা করেছে। আমরা এই সুনাম অব্যাহত রাখতে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য পবিত্র হজে গিয়ে দোয়া করবেন দেশ যাতে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার নিজের জন্যও দোয়া চান। যারা এবার বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে হজে যেতে পারছেন না, আগামী বছর তারাই অগ্রাধিকার পাবেন বলেও কথা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী হজ ক্যাম্পে হাজিদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে কথা বলেন। তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার খোঁজখবর নেন এবংনির্বিঘ্নে যাতে পবিত্র হজ পালন শেষে আপনজনদের কাছে ফিরে আসতে পারেন সেই দোয়া করেন।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল জলিল অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ীকমিটির চেয়ারম্যান বজলুর হক হারুন, স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-১৮) সাহারা খাতুন, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

এবছরের হজ ফ্লাইট শুরু হবে ৪ অগাস্ট থেকে এবং এ বিশেষ ফ্লাইট চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ফিরতি ফ্লাইট ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। অন্য বছরের মতো এবারো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্স অর্ধেক হজযাত্রী পরিবহন করবে।

বাংলাদেশ বিমান ১১২টি বিশেষ ফ্লাইট ও ৩২টি নির্ধারিত ফ্লাইট দিয়ে ৫০,০০০ হজ যাত্রী পরিবহন করবে। আর ফিরতি যাত্রীদের জন্য থাকবে ১০৫টি বিশেষ ফ্লাইট ও ২৯টি নির্ধারিত ফ্লাইট। বাকি ৫০,০০০ হজযাত্রী পরিবহন করবে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর