ঢাকা ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচু লম্বায় ১১ ফুট, ওজন ৮০ কেজি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৩ বার

পটুয়াখালীর দশমিনায় ১১ ফুট লম্বা ও ৮০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির একটি বেল কচু আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বারেক টন্নি (৪৫) নামের এক প্রান্তিক কৃষক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে জন্মানো কচুটি বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের পুজাখোলা এলাকায় নিয়ে আসেন ওই কৃষক। পরে ১০ জন ক্রেতা মিলে এটি আড়াই হাজার টাকায় কিনে ভাগ করে নেন।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ গছানী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. বারেক টন্নি আমাদের সময়কে বলেন, ‘৩ বছর আগে শখ করে এক আত্মীয়র কাছ থেকে ৫০টি চারা সংগ্রহ করে বসতবাড়ির মধ্যে পতিত জমিতে রোপণ করি। নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি স্বজনদের বিনামূল্যে দিয়েও এ পর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার টাকার কচু বিক্রি করেছি। ঘরের কাছে থাকায় এটি কাটিনি। তেমন পরিচর্যাও করিনি। তবে কয়েকদিন পরপর শুধু ছাই দিয়েছি।’

কচুটির এক ক্রেতা উপজেলা সদরের চরহোসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, ‘এত বড় কচু আমি আর দেখিনি। এ জাতের কচু অনেক সুস্বাদু। একা কেনা সম্ভব না। তাই ভাগে কিনেছি।’

দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘এ জাতের কচুতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ বালাই কম হয়। বসতবাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে, রাস্তার পাশে, খাল পাড়ে এটি চাষ করা যায়। তাই এটি চাষে ফসলি জমির অপচয় হয়না। খেতে সুস্বাদু ও ভালো বাজার দর থাকায় কৃষি বিভাগ থেকে এ জাতের কচু চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কচু লম্বায় ১১ ফুট, ওজন ৮০ কেজি

আপডেট টাইম : ১২:৫৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পটুয়াখালীর দশমিনায় ১১ ফুট লম্বা ও ৮০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির একটি বেল কচু আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বারেক টন্নি (৪৫) নামের এক প্রান্তিক কৃষক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে জন্মানো কচুটি বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের পুজাখোলা এলাকায় নিয়ে আসেন ওই কৃষক। পরে ১০ জন ক্রেতা মিলে এটি আড়াই হাজার টাকায় কিনে ভাগ করে নেন।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ গছানী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. বারেক টন্নি আমাদের সময়কে বলেন, ‘৩ বছর আগে শখ করে এক আত্মীয়র কাছ থেকে ৫০টি চারা সংগ্রহ করে বসতবাড়ির মধ্যে পতিত জমিতে রোপণ করি। নিজেরা খাওয়ার পাশাপাশি স্বজনদের বিনামূল্যে দিয়েও এ পর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার টাকার কচু বিক্রি করেছি। ঘরের কাছে থাকায় এটি কাটিনি। তেমন পরিচর্যাও করিনি। তবে কয়েকদিন পরপর শুধু ছাই দিয়েছি।’

কচুটির এক ক্রেতা উপজেলা সদরের চরহোসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, ‘এত বড় কচু আমি আর দেখিনি। এ জাতের কচু অনেক সুস্বাদু। একা কেনা সম্ভব না। তাই ভাগে কিনেছি।’

দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘এ জাতের কচুতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ ও রোগ বালাই কম হয়। বসতবাড়ির আঙিনায় পতিত জমিতে, রাস্তার পাশে, খাল পাড়ে এটি চাষ করা যায়। তাই এটি চাষে ফসলি জমির অপচয় হয়না। খেতে সুস্বাদু ও ভালো বাজার দর থাকায় কৃষি বিভাগ থেকে এ জাতের কচু চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।’