হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারী দিবসের কথা আমরা সবাই জানলেও পুরুষ দিবসও যে আছে তা আমরা অনেকেই জানি না। আবারও জানলেও ঘটা করে তা উদযাপন করা হয় না। আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস। তাই চাইলেই বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যিনি হোন না কেন, আপনার প্রিয় পুরুষ মানুষটিকে আজ কিছু উপহার দিতে পারেন। তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তিনি।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিরোম টিলাকসিংয়ের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয় বিশ্ব পুরুষ দিবস পালন। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল। তবে দিন দিন দিবসটির জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে পুরুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়। নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস একজন পুরুষকে ভালো মানুষ হওয়ার মূল্যবোধ, চরিত্র এবং দায়িত্বের প্রতি উৎসাহিত করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ বছরের কম বয়সী পুরুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। কিন্তু, পুরুষের আত্মহত্যার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই পুরুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে ও মানসিক সুস্থতার জন্য পুরুষ দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ।
এটা মনে রাখতে পুরুষ দিবসের উদ্দেশ্য নারী দিবসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা নয়। বরং পুরুষের সামাজিক অভিজ্ঞতাকে সবার কাছে তুলে ধরা এই দিবসের উদ্দেশ্য। তাই সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি উদযাপন করা যেতে পারে।