ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে কৃষক লাভবান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
  • ৯০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে লাভবান হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামের কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তিনি মাত্র ১০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই গ্রাফটিং টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা গেছে, টমেটো চাষে কৃষক মানিক মিয়া মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করেছেন। ক্ষেতে জৈব বালাইনাশক দেওয়া হয়েছে। এতে বিষমুক্ত টমেটো উৎপাদন হয়। ক্ষেত থেকে এসব টমেটো সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২০০ থেকে শুরু করে ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন।

কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি প্রায় ১০ শতক জমি আবাদ করে গ্রাফটিং টমেটো জাত বারি-৮ চাষে সফলতা পান। প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচে ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। আরও ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ জাতের টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচি আওতায়  মোটিভেশনের মাধ্যমে মালচিং পেপার দিয়ে গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং টমেটো চাষ করেন রুহুল আমিন মানিক। এ জাতের টমেটো চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন।

তিনি বলেন, গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গেলে তিত বেগুনের চারা দিতে হয় একই সঙ্গে। গ্রাফটিং করার উদ্দেশ্য হলো বর্ষাকালে মাটিতে আর্দ্রতা বেশি থাকে। তিত বেগুনে কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে এর শিকড় অনেক শক্ত হয়। ফলে পানি শিকড় নষ্ট করতে পারে না। বাহুবলে এ জাতের টমেটোর চাষ তেমন ছিল না। বর্তমানে চাষিরা টমেটো চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হবিগঞ্জে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে কৃষক লাভবান

আপডেট টাইম : ১১:৪০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষ করে লাভবান হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামের কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তিনি মাত্র ১০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তাকে দেখে এলাকার অনেকেই গ্রাফটিং টমেটো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা গেছে, টমেটো চাষে কৃষক মানিক মিয়া মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করেছেন। ক্ষেতে জৈব বালাইনাশক দেওয়া হয়েছে। এতে বিষমুক্ত টমেটো উৎপাদন হয়। ক্ষেত থেকে এসব টমেটো সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ২০০ থেকে শুরু করে ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন।

কৃষক মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তিনি প্রায় ১০ শতক জমি আবাদ করে গ্রাফটিং টমেটো জাত বারি-৮ চাষে সফলতা পান। প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচে ৫০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি হয়েছে। আরও ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ জাতের টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচি আওতায়  মোটিভেশনের মাধ্যমে মালচিং পেপার দিয়ে গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং টমেটো চাষ করেন রুহুল আমিন মানিক। এ জাতের টমেটো চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন।

তিনি বলেন, গ্রাফটিং পদ্ধতিতে গেলে তিত বেগুনের চারা দিতে হয় একই সঙ্গে। গ্রাফটিং করার উদ্দেশ্য হলো বর্ষাকালে মাটিতে আর্দ্রতা বেশি থাকে। তিত বেগুনে কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে এর শিকড় অনেক শক্ত হয়। ফলে পানি শিকড় নষ্ট করতে পারে না। বাহুবলে এ জাতের টমেটোর চাষ তেমন ছিল না। বর্তমানে চাষিরা টমেটো চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।