ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য: স্পিকার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ১০৩ বার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা অবিসংবাদিত ক্ষণজন্মা নেতা। সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষণ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ হিসাবে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য।

শনিবার (১৯ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আবাসিক কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে, এম, আব্দুস সালাম বক্তব্য প্রদান করেন।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আসিফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মিঞা, জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলার আপামর জনসাধারণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর আস্থা ও ভালোবাসা। পূর্ব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য রোধের জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতা নেপথ্যে থেকে সবসময় সহায়তা প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের ভিত প্রস্তুত করেছেন। কৃষি উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, শিশু আইন, পরিকল্পনা কমিশন, প্রথম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা, কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ আইন পাস ছিল তার দূরদর্শী প্রজ্ঞা।

স্পিকার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল, বিশ্বের ইতিহাসে এমন মর্মস্পর্শী, অমানবিক ও বেদনাদায়ক ঘটনার নজির নেই।

তিনি এসময় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দেবার এবং সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্সকে জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকেরা হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন পাস করেছে এবং এর মাধ্যম পবিত্র সংসদকে কলুষিত করেছে। হত্যাকারীরা চিহ্নিত শত্রু, তাদের সকলের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কুশলীবরাই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী। তিনি বলেন, দেশ বিরোধী সকল শক্তিকে নির্মূল করতে হবে।

স্পিকার জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

এ সময় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য: স্পিকার

আপডেট টাইম : ১১:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা অবিসংবাদিত ক্ষণজন্মা নেতা। সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষণ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ হিসাবে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য।

শনিবার (১৯ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আবাসিক কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে, এম, আব্দুস সালাম বক্তব্য প্রদান করেন।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আসিফ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মিঞা, জাতীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলার আপামর জনসাধারণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর আস্থা ও ভালোবাসা। পূর্ব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য রোধের জন্য বঙ্গবন্ধু সবসময় সোচ্চার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গমাতা নেপথ্যে থেকে সবসময় সহায়তা প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের ভিত প্রস্তুত করেছেন। কৃষি উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, শিশু আইন, পরিকল্পনা কমিশন, প্রথম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনা, কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ আইন পাস ছিল তার দূরদর্শী প্রজ্ঞা।

স্পিকার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল, বিশ্বের ইতিহাসে এমন মর্মস্পর্শী, অমানবিক ও বেদনাদায়ক ঘটনার নজির নেই।

তিনি এসময় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দেবার এবং সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্সকে জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকেরা হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন পাস করেছে এবং এর মাধ্যম পবিত্র সংসদকে কলুষিত করেছে। হত্যাকারীরা চিহ্নিত শত্রু, তাদের সকলের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কুশলীবরাই মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী। তিনি বলেন, দেশ বিরোধী সকল শক্তিকে নির্মূল করতে হবে।

স্পিকার জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

এ সময় সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।