ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনবল স্বল্পতায় দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছে বিএডিসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩
  • ১৩১ বার

জনবল স্বল্পতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি)  কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব কৃষকের হাতে সার-বীজ আর মাঠে সেচ দেয়ার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জনবল সঙ্কট থাকায় ওই দায়িত্ব পালনে খাবি খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয় শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নিলে উল্টো বিএডিসির জনবল কাটছাঁট করে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটির জনবল কাঠামো ৬ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ১৭ জনে নামিয়ে গত ১৯ জুন পরিপত্রও জারি করা হয়। তবে পরিপত্র সংশোধনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে বিএডিসি ও কৃষি মন্ত্রণালয়। বিএডিসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিএডিসিতে ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে ৬ হাজার ৮০০ জনবল মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন হয়। ওই সময় ১ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা এবং ৫ হাজার ১০০ কর্মচারী নিয়ে জারি করা হয় জনবল কাঠামোর প্রজ্ঞাপন। এর মধ্যে বর্তমানে ৩ হাজার ১৭ জন কর্মরত আছেন। বাকি ৩ হাজার ৭৮৩টি পদ শূন্য রয়েছে। জনবল সংকটের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ গাড়িচালক নিয়োগের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। হঠাৎ অতিসম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় বিএডিসির জনবল কাঠামো ৩ হাজার ১৭ জনে নামিয়ে এনে পরিপত্র জারি করে। এতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়। সূত্র জানায়, বিগত বিএনপি সরকারের আমলে দু’দফায় বিএডিসির ১৩ হাজার কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়। এরপর থেকে বিএডিসি চাহিদার বিপরীতে কম জনবল নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএডিসির জনবল ৯ হাজার ৩৫৫ জন করতে সম্মতি দেন। এটি ওই বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এখন জনবল না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে জনবল কাঠামো নিয়ে আলাপণ্ডআলোচনা চলছে এবং সংশোধনের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ জানান, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে ১৯৯৮ সালের জনবল কাঠামোতে তাদের অনুমোদন নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ে জনবল কমিয়ে পরিপত্র জারি করে। অনেক পদেই জনবল কমানো হয়েছে। সংস্থার পরিচালক সদস্য পদ ছিল চারটি, এখন দুটি দেখানো হয়েছে। এটি বিএডিসি আইনের পরিপন্থি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে পরিপত্র জারি করেছে, এটাই চূড়ান্ত নয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমাধান হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনবল স্বল্পতায় দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছে বিএডিসি

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩

জনবল স্বল্পতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি)  কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব কৃষকের হাতে সার-বীজ আর মাঠে সেচ দেয়ার। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জনবল সঙ্কট থাকায় ওই দায়িত্ব পালনে খাবি খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয় শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নিলে উল্টো বিএডিসির জনবল কাটছাঁট করে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানটির জনবল কাঠামো ৬ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ১৭ জনে নামিয়ে গত ১৯ জুন পরিপত্রও জারি করা হয়। তবে পরিপত্র সংশোধনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে বিএডিসি ও কৃষি মন্ত্রণালয়। বিএডিসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিএডিসিতে ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে ৬ হাজার ৮০০ জনবল মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন হয়। ওই সময় ১ হাজার ৭০০ কর্মকর্তা এবং ৫ হাজার ১০০ কর্মচারী নিয়ে জারি করা হয় জনবল কাঠামোর প্রজ্ঞাপন। এর মধ্যে বর্তমানে ৩ হাজার ১৭ জন কর্মরত আছেন। বাকি ৩ হাজার ৭৮৩টি পদ শূন্য রয়েছে। জনবল সংকটের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ গাড়িচালক নিয়োগের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। হঠাৎ অতিসম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় বিএডিসির জনবল কাঠামো ৩ হাজার ১৭ জনে নামিয়ে এনে পরিপত্র জারি করে। এতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে যায়। সূত্র জানায়, বিগত বিএনপি সরকারের আমলে দু’দফায় বিএডিসির ১৩ হাজার কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়। এরপর থেকে বিএডিসি চাহিদার বিপরীতে কম জনবল নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএডিসির জনবল ৯ হাজার ৩৫৫ জন করতে সম্মতি দেন। এটি ওই বছর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এখন জনবল না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে জনবল কাঠামো নিয়ে আলাপণ্ডআলোচনা চলছে এবং সংশোধনের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ জানান, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে ১৯৯৮ সালের জনবল কাঠামোতে তাদের অনুমোদন নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ে জনবল কমিয়ে পরিপত্র জারি করে। অনেক পদেই জনবল কমানো হয়েছে। সংস্থার পরিচালক সদস্য পদ ছিল চারটি, এখন দুটি দেখানো হয়েছে। এটি বিএডিসি আইনের পরিপন্থি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে পরিপত্র জারি করেছে, এটাই চূড়ান্ত নয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমাধান হবে।